পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী । তাঁর সাংসদ কোটার উন্নয়নি তহবিলের টাকায় তাম্রলিপ্ত পৌরসভা এলাকায় উন্নয়নের জন্য এবার পৌরসভার চেয়ারম্যান এর কাছে দরবার করলেন বিজেপির প্রতিনিধি দল !
ডেপুটানকারীদের দাবি ২০১৯ সালে লোকসভার নির্বাচনের পরে তমলুকের সাংসদ তহবিলের টাকা উন্নয়ন খাতে ব্যবহার হয়নি তাম্রলিপ্ত পৌরসভা এলাকায়। তাই তমলুক সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর তহবিলের টাকায় তাম্রলিপ্ত পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে যাতে লাগে সেই কারণে তমলুক নগর মণ্ডল সভাপতি সুকান্ত চৌধুরী, বিজেপি কাউন্সিলর জয়া দাস নায়েক, শবরী চক্রবর্তী সহ দশজনের একটি প্রতিনিধি দল তাম্রলিপ্ত পৌরসভার চেয়ারম্যান এর কাছে দেখা করেন।
বিজেপির প্রতিনিধি দল চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ণ রায়কে অনুরোধ করেন যাতে তমলুকের সংসদ তহবিলের টাকায় পৌরসভায় এলাকায় উন্নয়ন হয়।উল্লেখ্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী।শুভেন্দু দলে বদল করে বিজেপিতে গেলেও তৃণমূলেই আছেন দিব্যেন্দু ।তবে ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর থেকে তাঁকে রাজ্যের শাসক দলের কোনো কর্মসূচিতেই দেখা যায়নি । বিজেপির কোন কর্মসূচীতেও দেখা যায়নি তাঁকে।
আগামী ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন।তার সাত-আট মাস আগে আচমকা দিব্যেন্দু অধিকারীর সাংসদ কোটার টাকায় উন্নয়ন করার দাবিতে বিজেপির ডেপুটেশনের ঘটনায় রাজনৈতিক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছেশুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করার পরে তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী এবং কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী দুজনেই কার্যত তৃণমূল দলের থেকে বিচ্ছিন্ন। রাজনৈতিক তরজার মধ্যে তাম্রলিপ্ত পৌরসভা এলাকায় সাংসদ তহবিলের টাকায় উন্নয়ন হয় কিনা এখন সেটাই দেখার বিষয়। যদিও শুক্রবার বিজেপির প্রতিনিধিদল লিখিত আবেদন না করে সৌজন্যমূলক দেখা করে প্রস্তাব দেন।তবে কি তমলুক লোকসভা আসনে বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন দিব্যেন্দু অধিকারী সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে