পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচনকে ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এলো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর এক পঞ্চায়েত সমিতিতে।
এদিন শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক মারপিট হয়।এমনকি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশের লাঠিচার্জ এর ঘটনা ঘটে। ২৭ আসন বিশিষ্ট রামনগর ১পঞ্চায়েত সমিতি।এর মধ্যে চারটি বিজেপি ও ২৩ টি আসনে তৃণমূল জয় লাভ করে। ফলে তৃনমূলের দখলে আসে এই পঞ্চায়েত সমিতি।
সোমবার সকাল থেকে বোর্ড গঠনকে ঘিরে এলাকা ছিলো সাজোসাজো রব। নিরাপত্তার বলয়ে মোড়া হয়েছিল পঞ্চায়েত সমিতি।
এদিন সভাপতি পদে নিতাই চরণ সার ও আব্দুল খালেক কাজী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোটাভুটিতে নিতাই চরণ পান ১৯ টি ভোট এবং খালেক কাজী পান আটটি ভোট। সূত্রের খবর চারজন বিজেপির সদস্য খালেক কাজী কে ভোট দিয়েছেন।
নিতাই চরণ সার গত ২০০৮ সালে রামনগরে এক পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি ছিলেন। ২০১৩ সালে সভাপতি হন। ২০১৮ সালে সহ-সভাপতি পদ সামলেছেন। সেই কারণে এবার দলীয় সিদ্ধান্ত ছিল নিতাই চরণ সার কে সভাপতি করা হোক।
সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন প্রাক্তন বন ও ভূমি কর্মদক্ষ খালেক কাজী। ভোটাভুটিতে হেরে যাওয়ার পরে খালেক কাজী অনুগামী ও নিতাই চরণ সারের অনুগামী দেরমধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। সূত্রের খবর সংঘর্ষ ও লাঠি চার্জে তিনজন কর্মী আহত হয়। এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চলছে ব্যাপক উত্তেজনা।