পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল সামনে আসার পর থেকে সারা পূর্ব মেদিনীপুর জুড়ে জল্পনা ছিল ফের সভাধিপতির চেয়ারে বসতে চলেছেন উত্তম বারিক।অপরদিকে দেপ্রাণ ব্লক থেকে প্রথমবার জেলা পরিষদ সদস্য তরুন জানার নামও শোনা যাচ্ছিলো।সেই সমস্ত জল্পনা অবসান ঘটিয়ে দ্বিতীয় বার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি হলেন উত্তম বারিক ।
পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বারিক ২০১৮ সালে নিজের জন্মস্থান দেশপ্রাণ বকক থেকে জেলা পরিষদের প্রার্থী হয়েছিলেন।জয়ী হন।গত ২০২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তিনি জেলা পরিষদের সভাধিপতির দ্বায়িত্ব পেয়েছিলেন।২০১৮ সালে সভাধিপতির চেয়ারে বসেছিলেন দেবব্রত দাস।তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পর সভাধিপতি হন উত্তম ।
এবার শক্ত আসন খেজুরী থেকে জেলা পরিষদের প্রার্থী হয়েছিলেন উত্তম বারিক।বিজেপির গড় হয়ে যাওয়া খেজুরী থেকে তিনি একা জয়ী হননি ,সেই সাথে দুটি পঞ্চায়েত সমিতিও বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে আনেন উত্তম।
গত কয়েক দিন ধরেই কে সভাধিপতি হবেন সেই নিয়ে জোর জল্পনা ছিলো।শোনা যাচ্ছিলো জেলা পরিষদের আসনে রেকর্ড ভোটে জয়ী তরুঞ্জানার নাম । তিনি দলের নানা প্রতিকূলতাকে ছাপিয়ে নীচুতলার কর্মীদের পাশে থেকে লড়াই করেছেন দীর্ঘদিন ধরে। এমনকী রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃনমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর সেই প্রতিকূল পরিবেশকে কাটিয়ে লড়াই করেছেন।সভাধিপতির দৌড়ের তালিকায় হলদিয়া মহকুমা অভিষেক দাস ও চণ্ডিপুর থেকে জয়ী রবিন মণ্ডলের সহ একাধিক জনের নাম ছিলো জল্পনায়। তবে দলের হুইপ চিঠি বুধবার পৌঁছানোর পরে সবটা পরিস্কার হয়ে যায়।
জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি হয়েছেন সুহাষিনী কর।তিনি নন্দীগ্রাম থেকে জেলা পরিষদের নির্বাচিত হয়েছেন