১২ বছরের নাবালিকা কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশী দাদুকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিল তমলুক আদালত। শনিবার তমলুকের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক(২য়) রিনা সাহু এই নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী সুতপা সামন্ত।
স্থানীয় ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের ১১ই মার্চের ঘটনা। ঐদিন সকাল প্রায় দশটা নাগাদ বাড়ির সামনেই সাইকেল চালাচ্ছিল বছর ১২র এক নাবালিকা কন্যা। সে সময় সম্পর্কে প্রতিবেশী দাদু সত্তরঊর্ধ বৃদ্ধ অভিযুক্ত রঞ্জিত মাইতি ওই নাবালিকাকে জোর করে একটি নির্জন মিনি চালানোর মেশিন ঘরের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানেই তাকে জোর করে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় বাড়ি ফিরে এসেই কান্নায় ভেঙে পড়ে সমস্ত কুকৃতির কথা জানিয়ে দেয় নাবালিকা। আর কোলাঘাট থানার অন্তর্গত নারায়ণ পাকুরিয়া এলাকার এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এই ঘটনায় নাবালিকার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিবেশী ওই বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করে কোলাঘাট থানার পুলিশ। তবে কয়েক দিনের মধ্যেই যামিনী মুক্তি পায় ওই বৃদ্ধ। অবশেষে দীর্ঘ প্রায় ছয় বছর ধরে এই মামলা চলার পর সমস্ত সাক্ষের এবং তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে বিচারক। এরপর শনিবার পকসো আইনের ৬ নম্বর ধারা মতে অভিযুক্তকে ১০ বছরের সাশ্রম কারাদণ্ড এবং নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ বিচারক। অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশের পাশাপাশি সরকারিভাবে নিগৃহিতা নাবালিকাকে তিন লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী সুতপা সামন্ত ।