লক্ষ্য ২০২৪।সেই লক্ষ্য পুরনে পারফর্মেন্সের বিচারেই নেতা বাছতে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বার্তা দিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুঅধিকারী বলছে রাজনৈতিক মহল।শুধু কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই নয় দিলীপ ঘোষ,সুকান্ত মজুমদারদেরকেও একই ভাবে তিনি বার্তা দিলেন বলেও মনে করছেন তাঁরা।
সোমবার তমলুকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির নব নির্বাচিত সদস্য সদস্যাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন শুভেন্দু অধিকারী ।সেখানেই ভাষন দেওয়ার সময় নাম না করে দিলীপ ঘোষ-সুকান্ত মজুমদারদের পাশাপাশা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বার্তা দিয়েছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু।
এই রাজ্যের বিজেপিতে দীর্ঘদিন ধরেই আদি-নব্যের লড়াই ।প্রকাশ্যে এই নিয়ে কোন নেতা বা নেত্রী কিছু বলতে না চাইলেও কর্মী-সমর্থক মহলে এই নিয়ে গুঞ্জন আছে।লোকসভা নির্বাচনের আগে এবার সেই বিষয়ে মুখ খুললেন শুভেন্দু।নিজের স্বভাব সিদ্ধ স্টাইলে তিনি কারো নাম না নিয়ে বললেন “এখানে সকলেই বিজেপির অনুগামী।কে আগে এসেছে সেটা বড় কথা নয়।বড় কথা হল পারফর্মেন্স।যো জিতা বহি সিকান্দার।” এর পরেই নিজের নিরতবাচনী কেন্দ্র নন্দীগ্রাম বিধানসভার মধ্যে থাকা পঞ্চায়েত-পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপির সাফল্য তুলে ধরেন।
শুভেন্দুর ভাষন সামনে আসার পরেই বিজেপির মধ্যে আলোড়ন পড়ে।কারন দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষের নিজের বুথ কুলিয়ানা গ্রামে প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি।অপরদিকে বিজেপির বর্তমান সভাপতি ড: সুকান্ত মজুমদারের নিজের বুথে বিজেপি প্রার্থী দিলেও জয়ী হতে পারেনি।মুখে না বললেও শুভেন্দু যে নিজের সাফল্যের খতিয়ান তুলে আখেরে দিলীপ-সুকান্তদের ব্যার্থতাকে কটাক্ষ করেছেন বলাই বাহুল্য।
শুভেন্দুর দলের রাজ্য সভাপতি হওয়া নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই কানাঘুষ চলছে।কিন্তু কোন এক অজ্ঞাত কারনে হচ্ছেনা ।তার মধ্যেই শুভেন্দুর এই বক্তব্য জল্পনা আরো বাড়ালো