পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামে মিড ডে মিলের রান্নাকে ঘিরে রাজনৈতিক তর্জা শুরু হয়েছে। ঘটনাটি নন্দীগ্রাম এক ব্লকের সোনাচূড়া সাউথখালী ভজহরি বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অভিযোগ এই বিদ্যালয়ে তিনজন মহিলা মিডডে মিল রান্না করতেন। নির্বাচনের পর পঞ্চায়েত সদস্য তাদের রান্না করতে না দিয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের রান্না করতে দিয়েছে।
রাঁধুনির দ্বায়িত্ব থেকে অপসারিতদের মধ্যে মিঠু দাস বলেন এই বুথের নব নির্বাচিত বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য তাদের কাজ থেকে বার করে দিয়েছে। তাদের বৈধ রান্না করার অনুমোদন এর কাগজ আছে। তা সত্ত্বেও তাদের রান্না করতে দেওয়া হয়নি। দাবি তাদের রান্না করতে দেওয়া হোক।
এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য অনুপ আড়ি বলেন ১৬ আগস্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা অভিভাবক অভিভাবিকা ও এলাকার বিশিষ্টজনদের নিয়ে একটি আলোচনা সভা হয়। এই আলোচনা সভায় সিদ্ধান্ত হয় আগের মত যে দুটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা রান্না করতেন তাদের দিয়েই রান্না করানো হবে। মিটিং এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৭ ই আগস্ট থেকে তিনজন মহিলাকে বাদ দিয়ে রাধাগোবিন্দ জিঊ ও মাচণ্ডী স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মোট কুড়িজন মহিলাকে দিয়ে ভাগাভাগি করে রান্না করানো হচ্ছে। এখানে কোন রাজনীতি বা দলের রং দেখা হয়নি।
অনুপ বাবু অভিযোগ করেন পূর্বতন পঞ্চায়েত সদস্য অর্থের বিনিময়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের বাদ দিয়ে এই তিন মহিলাকে রান্নার অনুমতি করিয়ে দিয়েছিল। তার পরিবর্তন মাত্র।
রাধাগোবিন্দ জিউ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যা মামনি দাস বলেন আমাদের দাবি ছিল আগের মত দুই স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে দিয়েই রান্নার কাজ করানো হোক। সেই মতো আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরো অভিযোগ করেন যারা রান্না করতেন তারা চাল ও মশলা পাতি চুরি করত। এতে পড়াদের মিড ডে মিল খাওয়াতে অসুবিধা হতো। সেই অসুবিধা এবার থেকে দূর হবে