Select Language

[gtranslate]
৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বুধবার ২২শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বাবার ছোট্ট সেলুন,ছেলে ডব্লিউবিসিএস অফিসার।

বাড়ি বলতে টালির একচালা কামরা,সেখানেই বাস বাবা-মা আর ছেলের।চরম আর্থিক প্রতিকুলতাকে পেছনে ফেলে বাবা-মার স্বপ্ন পুরন করেছে বিকাশ।পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের এই যুবক ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষায় ১৪ র‍্যাঙ্ক নিয়ে সফল হয়েছে।আর তার এই সফলতায় শুধু বিকাশের বাবা – মা নয়,খুশী পুরো গ্রাম।

নন্দকুমার ব্লকের কল্যাণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সোদলপুর গ্রামের বাসিন্দা বিকাশ মান্না
গ্রামের ছোট্ট একটি নার্সারি স্কুলে পড়া ছাত্র কল্যাণপুর হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে হলদিয়া গভর্মেন্ট কলেজে সায়েন্স নিয়ে ফাস্ট ক্লাস পান তারপরেই অক্লান্ত পরিশ্রম করে পিএসসি তে পাস করে হাওড়া জেলা শাসক দপ্তরের পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরে চাকুরী পেয়েছেন ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে।


বিকাশ মান্না দুবার ডব্লুবিসিএস পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে পারেনি। কিন্তু তৃতীয়বার উত্তীর্ণ হয়ে বেজায় খুশি তার পরিবার ও পাড়ার লোকজন। র‍্যাঙ্ক ১৪ নিয়ে ডব্লুবিসিএস পরীক্ষায় সফল হয়েছে।তারপরেই এসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ রেভিনিউ ফিনান্স পদে নিয়োগ পেয়েছে।

বাবা ভোলানাথ মান্না। নন্দকুমার বাজারে একটি ছোট্ট সেলুন দোকান তা থেকে কোনরকম সংসার চলে সেই টাকাতেই নিজেরা না খেয়ে দেয়ে ছেলের পড়ার টাকা যুগিয়েছেন। পড়াশোনার ফাঁকে টিউশন করে পড়া টাকা ও বিভিন্ন কম্পিটিশন পরীক্ষার টাকা রোজগার করেছেন। বলেন ছেলে ছোট থেকেই মেধাবী ছিল ।তাই তাঁরা নিজেদের সমস্ত শখ আহ্লাদ ত্যাগ করে ছেলের পড়ার জন্যই চেষ্টা করেছেন ।


মা নমিতা মান্না বলেন পড়াশোনা ছেলের স্বপ্ন ছিল তাই সব সময় পড়াশোনা নিয়েই থাকতো আমরা কোনদিন তাকে বাধা দিইনি। আমরা আজ আনন্দিত ও খুশি।

প্রতিবেশীরা বলেন আমার গ্রামের ও পাড়ার গর্ব বিকাশ মান্না।তার এই সফলতায় আমরা প্রচন্ড খুশী

ekhansangbad
Author: ekhansangbad

Related News

Also Read