চুল ব্যবসায় আর্থিক বিবাদের জেরে অপহৃত হওয়া বিশ্বভারতীর বিদেশি পড়ুয়া পান্না চারাকে প্রতিবেশী রাজ্য উড়িষ্যার তালসারি থেকে উদ্ধার করলো পুলিশ। অপহৃত ছাত্র মায়ানমারের
বাসিন্দা, চুলের ব্যবসা করতেন। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের শেখ সাহির মোহাম্মদ নামের এক চুল ব্যবসায়ীর সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল তাঁর।ব্যাবসার ৫০ লক্ষ টাকা
নিয়ে সেই এই বেদেশী ছাত্রের সাথে ব্যবসায়ীর সঙ্গে বচসা বাঁধে। তারপরেই অপহরণের ছক কষে ওই ব্যবসায়ী।
জানা গেছে অভিযুক্ত মূল চক্রী সাহির মোহাম্মদের সাথে পান্নার সঙ্গে পরিচয় ব্যবসায়িক সূত্রে কলকাতার দমদমে।সাহির এলাকা থেকে চুল সংগ্রহ করে পান্নাকে সরবরাহ দিত।অভিযোগ
মাল পেলেও দীর্ঘদিন সাহিরকে টাকা দিচ্ছিলো না পান্না চারা।এদিকে সাহির যাদের কাছ থেকে চুল সংগ্রহ করেছিল তারা চাপ দিতে থাকে পয়সা দেওয়ার জন্য। অবশেষে সাহির ওই
যুবককে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চন্ডিপুরে নিজের অফিসে
ডেকে পাঠায়।গত ২১ সেপ্টেম্বর পান্না সেখানে হাজির হলে তাকে তালসারিতে নিয়ে গিয়ে লুকিয়ে রাখে।বকেয়া টাকা দেওয়ার জন্যে চাপ দেওয়া হয়।এই অবস্থায় গোপনে পান্না চারা
ফোনে তার বান্ধবীকে সব জানায় এবং তাকে এদের হাত থেকে উদ্ধারের ব্যাবস্থা করতে বলে।
তখনই ওই বান্ধবী তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ও বোলপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বোলপুর থানার পুলিশ দিঘায় আসে এবং দিঘা
পুলিশের সহযোগিতায় টাওয়ার লোকেশান চেক করে তালসারিতে হাজির হয়।। সেই সঙ্গে তালসারি কোস্টাল পুলিশের
সহযোগিতায় দুপুর তিনটার নাগাদ ছাত্রকে উদ্ধার করে এবং সেই সঙ্গে পাঁচ কিডন্যাপারকে গ্রেফতার করে। পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এর সঙ্গে বাকি সাত
জন অভিযুক্ত ছিল তারা গাড়ি করে পালিয়ে যায় পরে তারা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে।
ঘটনাস্থলে পুলিশের হাতেনাতে ধৃতরা হলে ভগবানপুর থানার পশ্চিম সরবেড়িয়া গ্রামের শেখ এনামুল মোহাম্মদ,মূল অভিযুক্ত শেখ সাহির মোহাম্মদ,হিঞ্চাগেড়িয়া গ্রামের শেখ কালো
মোহাম্মদ,মঞ্জুর খান এবং চন্ডীপুর থানার নন্দপুর গ্রামের সেক মিরাজ হাসিন।দুটি চার চাকা গাড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়েই সমস্যা তৈরি হওয়ায় ছাত্রকে
অপহরণ করা হয় বলে প্রাথমিক জানা গিয়েছে। তবে ব্যবসার সঙ্গে কোন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই ছাত্রটিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।