এতোদিন তৃনমূল অভিযোগ করতো অধীর রঞ্জন চৌধুরী কংগ্রেসের নেতা হলেও এই রাজ্যে তাঁর আচরন অনেকখানি বিজেপির মত।তাঁর কথা বার্তায় এই রাজ্যে কংগ্রেসের কতটা লাভ হয় তাই নিয়ে সন্দেহ থাকলেও,বিজেপির রাজনৈতিক লাভের সম্ভাবনা থাকে।এবার তৃনমূলের সেই অভিযোগে যেন সীলমোহর লাগালো মারাঠা স্ট্রংম্যান শরদ পাওয়ার।
ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির প্রধান শরদ পওয়ার তীব্র সমালোচনা করেছেন বাংলার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর । তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুকথা বলার অভ্যাস বন্ধ করতে পরামর্শ দিয়েছেন।স্বভাবতই চাপ বাড়লো অধীরের উপর
মঙ্গলবার সেই নিয়ে অধীরকে কার্যতই তিরস্কার করেন শরদ। তিনি বলেন, অধীররঞ্জন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে তিক্ত সম্পর্ক দেখেছি আমরা। মমতাকে কুকথা বলার বদভ্যাস রয়েছে ওঁর, যা মোটেই ভাল নয়। এই আচরণ কাম্য নয় ওঁর থেকে।
লাগাতার কড়া ভাষায় তৃণমূল এবং মমতাকে আক্রমণ করতে দেখা যায় অধীরকে। সম্প্রতি মমতার স্পেন-সফর নিয়েও কটাক্ষ ছুড়ে দেন তিনি।রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতিকে ‘মমতা মেড ডেঙ্গি, গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড ডেঙ্গি’ বলে উল্লেখ করেন। সেই আবহেই অধীরকে সংযত হতে বললেন শরদ।
জাতীয় স্তরে পরস্পরের সঙ্গে হাত মেলালেও, বাংলায় প্রতিপক্ষ হিসেবেই অবস্থান তৃণমূল এবং কংগ্রেসের।
এদিন অধীরকে তিরস্কারের পাশাপাশি মারাঠা স্ট্রংম্যান দাবি করেছেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদের এই আচরণে বিরোধীদের জোটে কোনও প্রভাব পড়বে না।