গতকাল রাত্রিতে পাঁশকুড়ার গতকাল রাত্রিতে পাঁশকুড়ার জয়কৃষ্ণপুরের স্লুইশগেটের ভেঙে যাওয়া অংশ অবিলম্বে মেরামত,জেলার জলবন্দী এলাকার জল নিষ্কাশনে সমস্ত নিকাশী খালে জমে থাকা কচুরিপানা সহ মাছ ধরার পাটা-জাল,জঞ্জাল পরিস্কার, বর্ষার পরই কেলেঘাই নদী ও সোয়াদিঘী-দেহাটী সহ সমস্ত নিকাশী খাল পূর্ণ সংস্কার,খাল ও নদীর চরে থাকা বেআইনি মাছের ভেড়ি-ইটভাটা-অবৈধ নির্মাণ উচ্ছেদ প্রভৃতি ন দফা দাবীতে আজ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা-ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে জেলা শাসক,তমলুকের মহকুমা শাসক, সেচ দপ্তরের মহকুমা আধিকারিকের নিকট ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
অন্যান্য দাবীগুলির মধ্যে অন্যতম হোল,কোলাঘাটের দেনান-দেহাটী সহ পটাশপুরের বারচৌকা,এগরার দুবদা বেসিন প্রকল্পের পূর্নাঙ্গ রূপায়ন। প্রতিনিধিদলে ছিলেন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক, সহঃ সভাপতি মধুসূদন বেরা, সহঃ সম্পাদক প্রশান্ত সামন্ত,সদস্য শুভাশীষ মন্ডল প্রমুখ।
অতিরিক্ত জেলা শাসক (উন্নয়ন) দিব্যা মরুগেশন স্মারকলিপি নেন। আধিকারিকগন দাবীগুলির যৌক্তিকতা স্বীকার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়, গত ২০২১ সালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে বন্যা এবং জলবন্দী পরিস্থিতির পর সেচ ও প্রশাসন দপ্তর কোন কাজে হাত না দেওয়ায় জেলার বিস্তীর্ন অংশ জলবন্দী হয়েছে। কিন্তু এ যাবৎ কোন কাজে হাত না দেওয়ায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ন অংশ জলবন্দী হয়েছে। নারায়নবাবু জেলার এই বন্যা ও জলবন্দী পরিস্থিতিকে রাজ্য সরকারের”ম্যান মেড”বলে অভিহিত করেন। দীর্ঘ দু বছরে কোন নদী ও নিকাশী খাল সংস্কার না করায় নিকাশী ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়ায় এই বিপত্তি বলে উনি অভিযোগ করেন।