হাসপাতালে দালাল দৌরাত্মে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে রোগীর আত্মীয়-স্বজনেরা। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতাল তথা তাম্রলিপ্ত মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে।অভিযোগ এই হাসপাতলে কোন নবজাত জন্ম নিলে মোটা অংকের টাকা দাবি করছে ওয়ার্ড বয় এবং আয়ারা। অভিযোগ এক এক জন প্রসুতির পরিবারের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা বা তার চেয়েও বেশি টাকা দাবি করা হয়। রোগীর নিরাপত্তার কথা ভেবে রোগীর আত্মীয়রা এই টাকা দিতে বাধ্য হয়। শর্ত থাকে এই কথা কাউকে বলা যাবে না।
সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমনই অভিযোগ করলেন চন্ডিপুর থানার জলপাই গ্রামের বাসিন্দা সূর্যকান্ত ঘোড়াই। এভাবে একাধিক রোগীর আত্মীয়রা অভিযোগ তুলেছেন। হাসপাতাল সুপার তথা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষা এই দুর্নীতির কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন লিখিতভাবে অভিযোগ এলে তদন্ত করা হয় এবং তার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সব অভিযোগ আসে না। সেই কারণে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়নি। এই কাজ অন্যায় বলেও তিনি জানিয়েছেন। অভিযোগ এই টাকা কেন নেই তার সঠিক ব্যাখ্যা নেই। রোগীর আত্মীয়রা অভিযোগ করে কর্মরত নার্স দের বিরুদ্ধে। তারা রোগী এবং রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গে ব্যবহার ভালো করে না। এই টাকা লেনদেনের কথা বললে তারা চরম খারাপ ব্যবহার করে। অনেকে অভিযোগ তুলেছেন এই টাকার সঙ্গে ভাগ বাঁটোয়ারার ব্যাপার নার্সদের সঙ্গে থাকলেও থাকতে পারে। দাবি করা হয়েছে এই দালাল রাজ এর দৌরাত্ম বন্ধ করা হোক।