কেকা মিত্র :- ছিলো বেড়াল হয়ে গেলো রুমাল,এ যেন এক মায়াবী জাদু। দর্শক সকলেই যেন জাদুকর ইন্দ্রজিৎ এর মায়া জালে আবদ্ধ হয়ে ছিলো পূর্ব মেদিনীপুর কাথি শহরের রাজদূত ব্যায়ামাগার ক্লাবের সকল সদস্য ও দর্শকগণ।গত ১৪ ই নভেম্বর ৫৭ তম কালী পুজোর মঞ্চে রাজদূত ব্যায়ামাগার আয়োজন করেছিল জাদুকর ইন্দ্রজিৎ এর একক ইন্দ্রজাল প্রদর্শনী।
এইদিন জাদুকর ইন্দ্রজিৎ দীর্ঘ দেড় ঘন্টা মঞ্চে ম্যাজিক দেখান। জাদুকর ইন্দ্রজিৎ আইচ পেশায় সাংবাদিক, নেশায় জাদুকর। ১৯৯৩ সাল থেকে তিনি ম্যাজিক দেখিয়ে আসছেন। কলকাতা দূরদর্শন, সরকারি ও বেসরকারি নানা অনুষ্ঠানে তিনি জাদু দেখান।
তার নিজের ম্যাজিক নিয়ে বইও প্রকাশিত হয়েছিলো
কলেজস্ট্রিট এর পাণ্ডুলিপি প্রকাশন থেকে ২০১৫ সালে ” জাদু বিজ্ঞানের অন্তরালে ” । এছাড়া তার আরো ৮টি বিভিন্ন ধরনের বই প্রকাশিত হয়েছে তার সম্পাদনায়। তিনি দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত। করেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা । লেখেন কবিতাও। তার তিনটি কবিতার বই ও প্রকাশিত হয়েছে।
এক কথায় বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ইন্দ্রজিৎ আইচ। বর্তমানে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখার পাশাপাশি এখন সংবাদ অন লাইন ডিজিটাল নিউজের সাথে জড়িত হয়ে আছেন বেশ কয়েক বছর। জাদুকর ইন্দ্রজিৎ এই দিন নানা ধরনের যাদু প্রদর্শন করেন।
রুমাল লাল থেকে নীল, রুমাল ভ্যানিশ করে ফ্লাওয়ার বাস্কেট, নীল পালক থেকে লাল, কালো, সাদা, বেগুনি, গোলাপী,কমলা পালক করে দেওয়া, তাস, ডিম , দড়ি, জল এর ম্যাজিক, সাদা কাগজ থেকে টাকা করে দেওয়া থেকে চার্লি চ্যাপলিন, টবে ফুল আসা থেকে তাস ফুটো হওয়া, এমন কি অটুট বন্ধন ও মেরা ভারত মহান এই সব অসাধারণ সব ম্যাজিক দেখিয়ে যাদুর আসর মাতিয়ে দেন, রাজদূত ব্যায়ামাগার এর পক্ষে তাকে সংবর্ধনা জানানো হয়। সাংবাদিক ও জাদুকর ইন্দ্রজিৎ আইচ এর হাত দিয়ে বিভিন্ন গরীব মানুষদের হাতে শীত বস্ত্র তুলে দেওয়া হয় এমন কি যেমন খুশি সাজো এই প্রতিযোগিতায় ছোটো ছোটো ছাত্র ছাত্রীদের হাতে মেমেন্ট তুলে দেন ইন্দ্রজিৎ আইচ।
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বহু বিশিষ্ট গুণীজন। সব মিলিয়ে জমে উঠেছিলো সাংবাদিক এবং জাদুকর ইন্দ্রজিৎ আইচ এর ইন্দ্রজাল প্রদর্শনী। অনুষ্ঠানের শেষে জাদুকর ইন্দ্রজিৎ বলেন রাজদূত ব্যায়ামাগার এর এই উদ্যোগ এক কথায় অনবদ্য। তারা এক একদিন এক এক রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলো। রক্তদান থেকে সাস্থ্য পরীক্ষা, বিভিন্ন কম্পিটিশন থেকে ভাই ফোঁটা সব মিলিয়ে ক্লাবের এই উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানান ইন্দ্রজিৎ আইচ।