পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের প্রথম সাধারণ সভায় হুলুুষ স্থুলুষ কান্ড ঘটে গেল। পরে বিরোধীরা সভা ওয়াক আউট করে বেরিয়ে গেলে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ সভায় বার্ষিক পরিকল্পনা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে বলে জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও বিধায়ক উত্তম বারিক জানিয়েছেন।জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা বামদেব গুছাইত এর দাবি আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে বিধানসভা শুরু হচ্ছে। বিধানসভার বিজ্ঞপ্তি হাতে আসার পরই মঙ্গলবার জেলা পরিষদের সাধারণ সভার দিন পরিবর্তনের দাবি জানানো হয়েছিল জেলা পরিষদের সচিবের কাছে। কিন্তু কোন কথাই শোনেননি সচিব।কারণ জেলা পরিষদের সদস্য হিসাবে বিধায়ক এবং সাংসদ থাকেন। যেহেতু বিধানসভা শুরু হচ্ছে সেই কারণে তাদের এবং জেলা পরিষদের সভাধিপতি একজন বিধায়ক তার পক্ষেও থাকা সম্ভব নয়। সেই কারণে সাধারণ সভার দিন পরিবর্তন এর দাবি জানানো হয়েছিল। সেই কারণে এদিন সভা শুরুর আগেই জেলাশাসকের কাছে সাধারণ সভা স্থিগত রাখার আবেদন জানানো হয়েছিল। মাইক্রোফোন নিয়ে কথা বলার সময় কোলাঘাটের সদস্য টুটুল মল্লিক মাইক্রোফোন কেড়ে নেন এবং ধাক্কাধাক্কি করেন বলে অভিযোগ জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা বামদেব গুছাইতের। এই নিয়ে সভায় উত্তেজনা ছড়ায়।
বিরোধী দলনেতা বলেন আমরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার কাজ করতে পারবো না। যার কারণে সভা বয়কট করেছি।বিরোধী দলনেতার দাবির ভিত্তিতে জেলা সভাধিপতি উত্তম বারিক বলেন বিধানসভার বিজ্ঞপ্তি জারির আগেই জেলা পরিষদের সাধারণ সভার দিন ঘোষণা করা হয়েছে। যার কারনে দিন পরিবর্তন করা যায়নি। বামদেব গুছাইত বলেন বিধানসভা চলার কারণে জেলা পরিষদে সভাধিপতি ছাড়া একজনও বিধায়ক উপস্থিত হতে পারেননি। সাংসদদ্বয় ও উপস্থিত হননি। সেই কারণেই সভা অসম্পূর্ণ বলে দাবি করেন তিনি। সভাধিপতি বলেন এদিনের সভা প্রথমের দিকে একটু সমস্যা হলেও পরে সুষ্ঠুভাবে সুসম্পন্ন হয়েছে। বার্ষিক পরিকল্পনা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। তিনি বলেন জেলার সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে রাস্তা, পানীয় জল, বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছানো, খাল সংস্কার,নিকাশি ব্যবস্থাকে উন্নতি করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় হাইড্রেন ও ড্রেনের ও পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। শুধু তাই নয় গ্রামীন কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে প্রাণী পালন ও মৎস্য চাষের উপরে বেশি করে গুরুত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে।এছাড়াও গ্রামীণ কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কাজের উপরে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির উন্নয়ন পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় কর্মক্ষেত্র গড়ারপরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে। সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক তানভীর আফজল, অতিরিক্ত জেলাশাসক অনির্বাণ কোলে, জেলা সভাধিপতি তথা বিধায়ক উত্তম বারিক,মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মদক্ষ তরুণ কুমার জানা, খাদ্য ও সরবরাহ কর্মাধ্যক্ষ তমাল তরু দাস মহাপাত্র, বিদ্যুৎ ও চিরাচরিত শক্তির কর্মাধ্যক্ষ শতরূপা পয়ড়্যা,পূর্ত কর্মদক্ষ মানব পড়ুয়া,অধ্যক্ষ মৃনাল কান্তি দাস সহ অন্যান্য কর্মদক্ষ এবং সদস্য সদস্যবৃন্দ।