পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া ব্লকের কেশাপাটগ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত উত্তর গোপালপুর গ্রাম। এখানেই বসবাস করেন ৫২ বছরের বৃদ্ধ গোপাল মন্ডল। এক দুর্ঘটনায় পড়ে দুই হাত দুর্ঘটনায় নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সংসারের হাল সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন এক বৃদ্ধ। সরকারি সাহায্য বলতে মাসিক এক হাজার ভাতা। ভগ্নপ্রাপ্ত বাড়িতেই থাকতে হচ্ছে ।অভিযোগ বারবার সরকারকে জানিও মিলছে না আবাস যোজনার বাড়ি। ১০০%প্রতিবন্ধী এই বৃদ্ধর কাতর আবেদন সরকার এবার মুখ তুলে তাকাক।
খুব ছোটবেলায় দুর্ঘটনায় দু হাত নষ্ট হয়ে যায় গোপাল মন্ডলের। তারপর থেকে বারবার প্রতিবন্ধী কার্ডের জন্য ছুটে গত দুবছর যাবত প্রতিবন্ধী কার্ড পেয়েছেন। বাড়িতে সরকারি রেশনের চালেই সংসার চলে। রাস্তাঘাট এবং বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে কীর্তন করে দিন যাপন করেন বৃদ্ধ ।
সরকারি প্রতিবন্ধী কার্ড থাকলেও মেলেনি কোন সাহায্য । সাইকেল চালিয়েই বিভিন্ন জায়গা যেতে হয় এই বৃদ্ধকে। ভগ্নাপ্রাপ্ত বাড়িতেই থাকতে হচ্ছে ।অভিযোগ বারবার সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে গিয়েও মেলেনি আবাস যোজনার বাড়ি।
প্রতিবন্ধী এই ব্যাক্তির অভিযোগ কেশাপাটগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের কাছে বাড়ির জন্য বা কোন সরকারী সহযোগিতার জন্য গেলে শুনতে হয় কটু কথা। বৃষ্টিতে ভাঙা বাড়িতেই দিন কাটায় এই বৃদ্ধ। মেলেনি সরকারি ত্রিপল। এই তীব্র ঠান্ডা তে স্যাত স্যাঁতে মাটিতেই কাটাতে হচ্ছে দিন। বৃদ্ধর করুন অনুরোধ সরকার যদি আবাস যোজনা বাড়ি দেন তবে মাথা গুজার ঠাঁই মিলতো।
কেশাপাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দাবি করেন যে পূর্বের প্রধানকে হয়তো কাটমানি দিতে পারেনি বলে এই বৃদ্ধাকে আবাস যোজনা বাড়ি থেকে বঞ্চিত রেখেছে। তবে কেন্দ্র সরকার আবাস যোজনা বাড়ি দিলেই প্রথম এই মানুষটিকে আমরা আবাস যোজনার বাড়ি তৈরি করে দেব। যদিও তৃণমূল তরফ থেকে দাবি করেন যে কেন্দ্র সরকারি তো আবাস যোজনার বাড়ি আটকে রেখেছে তাহলে আমরা দেব কিভাবে।আবাস যোজনায় নাম আছে কেন্দ্র সরকার টাকা পাঠালেই ইনি অবশ্যই বাড়ি পাবেন