পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মন্দারমনি থানার তাজপুর পর্যটন কেন্দ্রে মঙ্গলবার রাতে একটি হোটেলে হানা দিয়ে ১৬ জন মক্ষী রানী সহ ২৩ জনকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। গোপনে খবর পেয়ে কাঁথি মহকুমা পুলিশ অফিসার সোমনাথ সাহার নেতৃত্বে সি আই পবিত্র কুমার গাঙ্গুলী ও মন্দারমনি থানার ওসি দেবব্রত বেরার তত্ত্বাবধানে বিশাল পুলিশবাহিনী তাজপুরের এক হোটেলে হানা দেয়। হানা দিয়েই চক্ষু চড়ক গাছ। হোটেলের ২ লিজ মালিকসহ সাতজন পালাবার চেষ্টা করলে তাদের পাকড়াও করে ফেলে পুলিশ বাহিনী। আগে থেকেই হোটেল লিজ মালিক ও কর্মচারীরা বুঝে ওঠার আগেই পুলিশ গোটা হোটেল চত্বর ঘিরে ফেলে। তারপরেই ১৬ জন মক্ষ্মীরানীকে আটক করে।
গ্রেফতার করে কালিন্দী গ্রাম পঞ্চায়েতের ড়েরা গ্রামের বাসিন্দা তথা লিজ মালিক সমীর প্রধান ও সোমনাথ প্রধান, সুবেড়িয়ার বাসিন্দা মির্জা সত্তার বেগ, জুনপুট উপকূলীয় থানার ছোট বানতলিয়া গ্রামের বাসিন্দা কার্তিক জানা,কাঁথি থানার মহিষাগোটের বাসিন্দা শুভঙ্কর গিরি, মহিশামুন্ডা গ্রামের বাসিন্দা শুভময় পন্ডা পশ্চিম মেদিনীপুর দাসপুরের বাসিন্দা তারক মাঝি কে গ্রেপ্তার করে বুধবার কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের জামিন নাকোচ করে তিনদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। উদ্ধার হওয়া মক্ষ্মীরানীদের হোমে পাঠানো হয়েছে। মক্ষ্মীরানীরা দক্ষিণ ২৪ পরগনা, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং ও কাঁথির বাসিন্দা বলে জানা গেছে। এই ধরনের মধুচক্র এই পর্যটন কেন্দ্রের অধিকাংশ হোটেলে চলে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। পুলিশি নজরদারি এড়িয়ে এই সমস্ত অবৈধ কাজকর্ম চলে। পুলিশ এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে। ধারণা এই চক্রের সঙ্গে আরো অনেকে যুক্ত আছে। তাদেরকেও ধরার জন্য অভিযান চালাবে পুলিশ বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।