বৃহস্পতিবার মহিষাদল ব্লকের টাঠারিবাড় দক্ষিণ কাশিমনগর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডের প্রতিনিধি নির্বাচনে তৃণমূলের কাছে রাম বাম জোট পরাস্ত হল। সমবায় সমিতির মোট সিট ৬১টি । ভোটার প্রায় ১,৬০০ বেশি। তৃণমূল কংগ্রেস মোট ৩৬ টি আসনে জয় লাভ করেছে। সমবায় বাঁচাও কমিটি রাম বাম জোট সবমিলিয়ে ২৫ টি আসনে জয় লাভ করে ।
গতবার থেকে তৃণমূল সরকার সমবায় সমিতির নির্বাচনের মেয়াদকাল পাঁচ বছর নির্ধারণ করেছে। পাঁচ বছর অন্তর সমবায় সমিতিগুলির প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। মহিষাদল ব্লকের রমনীমোহন গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড এবারে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের কাছ থেকে বিজেপি ছিনিয়ে নেয় । গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করার পর বিজেপি যেভাবে উল্লাস দেখিয়েছিল। সেই উল্লাসের ফল স্বরূপ সমবায় সমিতির নির্বাচনে ভোট বাক্সে দেখাতে পারল না। তৃণমূলের কাছে পরাস্ত হল অর্থাৎ হার স্বীকার করতে হল বিজেপিকে ।
তৃণমূলের এই জয়ের প্রসঙ্গে সমবায় সমিতির প্রাক্তন সেক্রেটারি উত্তম কুমার দিন্ডা জানিয়েছেন, এই জয় তৃণমূলের জয় ,এ জয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়। পঞ্চায়েত ভোটের আগে আমাদের নিজেদের মধ্যে একটু দ্বন্দ্ব থাকার ফলে আমাদেরকে এই গ্রামপঞ্চায়েতে বোর্ডটিকে থেকে হারাতে হয়। কিন্তু সমবায় সমিতির ভোটের আগে আমরা আমাদের বিধায়ক তিলক কুমার চক্রবর্তীকে ডেকে তার সুষ্ঠু সমাধান করে নেওয়া হয়। আর সেই কারণেই বিজেপি সমবায় সমিতির ভোটে আমাদের কাছে অর্থাৎ তৃণমূলের কাছে পরাস্ত হল। বিজেপির কর্মীরা আশে পাশের দোকানে আবিরের বস্তা ও চকলেট বোম রেখেছিল। কিন্তু ভোটের রেজাল্ট খারাপ হওয়ায় আবির উড়ানো আর নেতাকর্মীদের গায়ে মাখানো হল না বলে এমনটাই জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক নেতৃত্ব শেখ রহমান (ডাকনাম হাবু) । ভোটের রেজাল্টের খবর পেয়ে এলাকার বিধায়ক তিলক কুমার চক্রবর্তী, মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিউলি দাস , জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মানস কুমার পন্ডা ,স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ তরুণ কান্তি মন্ডল ও বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ শেখ রহমান (হাবু ) ঘটনাস্থলে যান। শীতের মরশুমে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থীদেরকে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা নলেন গুড়ের রসগোল্লা খাইয়ে দেন। এদিনের ভোট গ্রহণ কেন্দ্র ছিল দক্ষিণ কাশিমনগর হাই স্কুলে (উ:মা:)। সমবায় সমিতির ভোটে জিতার পর তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থীসহ – বিধায়ককে নিয়ে একটি মিছিল বেরোয়।*