সৈকত শহরের ঝাঁ চকচকে হোটেলের আড়ালে পর্যটকদের খাওয়ানো হচ্ছিল বাসি ও পচা খাবার। নন্দীগ্রাম জেলা খাদ্য সুরক্ষা দফতর অভিযান চালিয়ে নষ্ট করে দিলো সেই সব খাবার। ধারানো হলো আইনি নোটিশ। দিঘায় খাবারের দোকানে অভিযানে গিয়ে রীতিমতো রণংদেহী মেজাজে দেখা গেল খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিকদের। ধমক দিয়ে দোকানের বাসি ও পচা হওয়া খাবার টেনে বের করে ডাস্টবিনেও ফেলা হল। ঝাঁ চকচকে দোকানের আড়ালে পর্যটক থেকে খাদ্য রসিক মানুষদের খাওয়ানো হচ্ছিল বাসি পচা খাবার। একাধিকবার সচেতন করা হলেও কোন কাজে আসেনি। অভিযোগ পেয়ে
এদিন আসরে নামে নন্দীগ্রাম জেলা খাদ্য সুরক্ষা দফতর। এই দিন নিউ দিঘায় বিভিন্ন খাবারের দোকান ও রেস্তরাঁয় হানা দিতেই হাতেনাতে ধরা পড়লো দোকানগুলির কারসাজি। দেখা গেল একাধিক জায়গায় টাকটা খাবারের নামে দেওয়া হচ্ছে বাসি পচা খাবার। নিজে হাতে দোকানের খাবারের গুণগত মান যাচাই করে একাধিক দোকানদারকে ধরালেন আইনি নোটিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিলেন জেলা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক। তবে শুধু রেস্তোরাঁ নয়, একাধিক খাবারের দোকানেও হানা দেন। বাসি মিষ্টি ও ফ্রিজে রাখা বাসি তৈরির করা মাংসের তরকারি নিজে হাতে ফ্রিজ থেকে বের করে তা ডাস্টবিনে ফেলার ব্যবস্থা করেন। দিনভর খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিকের এই অভিযানে ব্যাপক। শোরগোল শুরু হয় দিঘা জুড়ে।
এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে না বললেও জেলা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক বিশ্বজিৎ মান্না বলেন, খাদ্য দফতরের নিয়মাবলী সম্পর্কে অনেকবার দোকানদারদের সচেতন করা হয়েছিল। কিন্তু, তারপরেও তা অনেকে মেনে চলেননি। খাদ্য সুরক্ষার। বিষয়েও নজর দেওয়া হচ্ছিল না। অনেক দোকানদার। বিনা লাইসেন্সে দোকান চালাচ্ছিলেন তাঁদের নোটিশ। ধরানো হয়েছে। এই দিন ছিলেন নন্দীগ্রাম জেলা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারি বিশ্বজিৎ মান্না, সপ্ত পাল, অরিত্রি বিশ্বাস প্রমুখ।