মধ্যযুগীয় বর্বরতা এখনো যায়নি। চোর ধরতে পুলিশ নয় ওঝা ডাকার নিদান দিলেন পঞ্চায়েত প্রধান। অভিযোগ বেশ কয়েকদিন আগে পূর্ব মেদিনীপুর নন্দীগ্রাম এক ব্লকের বিরুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুলিয়া গ্রামে শিব শংকর জানার বাড়ি চুরি হয়। গয়নাগাঁটি সহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতকারীরা। গ্রামে সালিশি বসিয়েও কোন সমাধান সূত্র মেলেনি। সিদ্ধান্ত হয় ওঝা ডাকার। সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছেন খোদ পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্য। পঞ্চায়েতের প্যাডে লিখেছেন ওঝা ডাকলে কোন আপত্তি নেই। তবে কোন কিছুর সমস্যা তৈরি হলে পঞ্চায়েত দায়ী থাকবে না। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডাকা হয় ওঝা কে।”নল-ধড়কা” যাকে বলে নল চালানো বা বাটি চালানো।ওঝাএসে নল চালিয়ে বিরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা বনবিহারী জানাকে চোর বলে চিহ্নিত করে।তারপর থেকেই শুরু হয় তার পরিবারের উপরে অমানষিক নির্যাতন। মারধর ও চলে বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে বনবিহারী নন্দীগ্রাম থানার দ্বারস্থ হয়। এই ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক বা গ্রেফতার করেনি। এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। যদিও পঞ্চায়েত প্রধান মৈত্রী গুড়িয়া দাস জানিয়েছেন তিনি কোন ওঝা ডাকতে বলেননি।
পঞ্চায়েতের লেটার প্যাডে স্বাক্ষরটি তার নয়। তিনি বলেছেন এই পদ্ধতিতে তার মত নেই। এই ঘটনাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি নন্দীগ্রাম এক ব্লক তৃণমূলের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ।তিনি বলেছেন মধ্যযুগীয় বর্বরতায় এখনো বসবাস করছে বিজেপি। স্থানীয় মানুষজন এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ। অভিযোগ স্বাধীনতার ৭৮ বছর পর ও এই বর্বরতা বিরাজমান। এখন মানুষ চাঁদে পৌঁছেছে মঙ্গল এবং সূর্য নিয়ে গবেষণা চলছে। এই থেকে প্রমাণিত বিজ্ঞানের অগ্রগতি। তারপরেও এই বর্বরতা সাধারণ মানুষ কোনদিন মেনে নেবে না।