Select Language

[gtranslate]
৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বুধবার ২২শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

হাতির হানায় নষ্ট হয়েছে বহু বিঘার আলুর জমি ! বিপাকে আলুচাষিরা

হাতির পালের তান্ডবে বহু সংখ্যক আলু চাষীরা সর্বশান্ত। গত এক সপ্তাহে জেলার ১২-১৪টি মৌজায় ২০০-২৫০ বিঘার অধিক আলু জমি সহ সবজি জমির ফসল নষ্ট করেছে হাতি । ন্যাহ্য ক্ষতিপূরণের দাবীতে গড়বেতার ধাদিকা মৌজায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে তুমুল বিক্ষোভে সামিল হন এলাকার শত শত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবার। প্রসাশন ও বনদপ্তর এব্যাপারে নির্বিকার থাকায় সেই ক্ষোভ আছড়ে পড়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ থেকে ধাদিকা বীট দপ্তরেও। বীট দপ্তরের সামনেও কৃষলদের তুমুল বিক্ষোভ সহ ঘেরাও চলে। হাতির একাধিক পালের তান্ডব চললেও প্রসাশন কেনো কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে নীরব! তার জবাব চায় কৃষকরা। ক্ষতিগ্রস্ত জমি গুলো পরিদর্শন সহ তার ছবি তোলা এবং বিঘা প্রতি ন্যূনতম ৩০হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষনা করার দাবীতে কৃষকদের এই বিক্ষোভ অবরোধ চলে।
গড়বেতা গোয়ালতোড় চন্দ্রকোনারোড এই তিনটি ব্লক এলাকার একাধিক মৌজায় তিনটি হাতির পাল আলু সবজির জমির ফসল খেয়ে সাবাড় করে দিচ্ছে বিঘের পর বিঘের জমি। মাঠ জুড়ে আলু চাষীরাদের কান্নার আর্তনাদ। বোরো চাষের কচি ধানগাছও হাতির পালের পা এর চাপে তছনছ।


এলাকার অধিবাসী সুবেদ নায়েক, অজয় মাহাত, সেক রবিউল, সেখ সরফরাজ প্রমুখ কৃষকরা বলেন,বনদপ্তর ও প্রসাশন কে হাতি তাড়ানোর আবেদন জানালেও কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে তাঁরা নীরব। গত ২১জানুয়ারী রাতে শিলাবতী নদী পার হয়ে গড়বেতার গনগনি হয়ে হাতির পাল ঢোকে। এখন প্রতি দলে ২৫-৩০টি করে হাতি আছে,এমন তিনটি দলমার বুনো হাতির দল এলাকার কৃষকদের ফসল সাবাড় সর্বশান্ত করেছে। কারোর মহাজনী ঋণ, কারোর দাদন দিয়ে চুক্তি চাষ, সেই ঋণ মেটাবে কি করে। এক এক জনের জমি থেকে এক বস্তাও আলু ঘরে উঠবে না।


৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের গড়বেতার ধাদিকাতে সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত পথ অবরোধ বিক্ষোভ চলে। কৃষকদের আপোষহীন দাবীর কাছে জেলা প্রসাশন ও বনবিভাগ যৌথভাবে কৃষকদের সাথে সভা করে ক্ষতিপূরণ বিষয়ে আলোচনা করার লিখিত প্রস্তাব দিতে বাধ্য হয়। এরপর জাতীয় সড়ক অবরোধ মুক্ত হয়।

ekhansangbad
Author: ekhansangbad

Related News

Also Read