বেড়েছে লক্ষীর ভাণ্ডারের টাকা। গত একুশের বিধানসভা ভোটে এর জন্য মহিলারা উপুড়হস্ত ভোট দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা ভোটের আগে ফের বাড়ল লক্ষীর ভাণ্ডারের টাকা। তাই সুযোগ হাতছাড়া করতে রাজি নয় তৃণমূল। রাজ্য মহিলা তৃণমূল সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য নির্দেশ মোতাবেক শনিবার বিকেলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ১ ব্লক মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে আলংগিরিতে এবং পাঁচরোলে কয়েকশো মহিলারা জমায়েত হয়ে সভার আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি সবুজ আবির উড়িয়ে শীতের মরশুমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে দোল উৎসবে মেতে ওঠেন মহিলা তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকেরা। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে ফ্রেব্রুয়ারি মাসে লক্ষীর ভাণ্ডারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার প্রভাব পড়েছিল ভোটে। মহিলারা দু’হাত তুলে ভোট দিয়েছিলেন শাসক দলকে। এতদিন তফসিল জাতি এবং জনজাতির মহিলারা ১০০০ টাকা ও অন্য মহিলারা ৫০০ টাকা পেতেন মাসে। এই প্রকল্পে রাজ্যের ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সি মহিলারা রাজ্য সরকারের আর্থিক সহায়তা পান। তফসিলি জাতি এবং উপজাতির মহিলারা দ্বিগুণ টাকা পাওয়ার ক্ষোভ দেখা দিয়েছিল সাধারণ মহিলাদের মধ্যে। এ বার রাজ্য বাজেটে সেই বিভেদ অনেকটা ঘুচেছে।
মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বাজেট পেশের সময় জানান, ‘মা-মাটি-মানুষের সরকার আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছে যে, লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পে তফসিলি জাতি এবং উপজাতির শ্রেণির জন্য আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধি করে ১,২০০ টাকা এবং অন্যান্যদের ১০০০ টাকা মাসিক ভাতা হবে। এ জন্য ১২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে’। চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে এই আর্থিক বৃদ্ধি কার্যকর হবে। মে মাসের শুরু থেকেই উপভোক্তাদের একাউন্টে সেই টাকা ঢুকবে। রাজ্যে ২ কোটি ১১ লক্ষ মহিলার লক্ষীর ভাণ্ডারের সহায়তা পাচ্ছেন। ৬০ বছর বয়স অতিক্রম করলে লক্ষীর ভাণ্ডারের প্রাপকেরা সোজাসুজি বার্ধক্য ভাতার আওতায় চলে আসেন। এগরা ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি বিজন বিহারি সাউ বলেন, “মহিলারা খুবই আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত। এর প্রভাব লোকসভা ভোটে নিশ্চিত পড়বে। জেলা সভাপতির নির্দেশ মত প্রতিটি অঞ্চল সভাপতি ও মহিলা সভানেত্রীকে জানিয়ে দিয়েছি। সবাই ধন্যবাদ কর্মসূচি নিয়েছেন।” এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন এগরা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অমিয় কুমার রাজ, দলের ব্লক মহিলা সভানেত্রী মানসী দে, সহ-সভাপতি সত্য চক্রবর্তী, জেড়থান অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি শান্তনু মাইতি, পাঁচরোল অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি অশোক দাস, অঞ্চল যুব সভাপতি চন্দন রায়, পাঁচরোল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সংযুক্তা জানা, জেড়থান গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মঞ্জু বেরা, বিশ্বজিৎ বেরা, রবীন্দ্রনাথ দাস, নন্দদুলাল সাউ প্রমুখ।