স্বর্নব্যবসায়ী সমীর পড়িয়া খুনের সাথে যুক্ত এক দুষ্কৃতকারী সেখ ঈশা হককে পুলিশ খুনের সাত দিনের মাথায় গ্রেপ্তার করেছিল। প্রায় পৌনে তিন মাস পর গত পরশুদিন কোলাঘাট থানার পুলিশ পাঁশকুড়ার বাহারগ্রামের বাসিন্দা সেখ রাজু নামে আর এক দুষ্কৃতকারীকে হাওড়ার শ্যামপুরের বাসিন্দা ঈশা হকের বাড়ী থেকে গ্রেফতার করে। গতকাল তমলুক কোর্টে ঐ খুনীকে তোলা হলে বিচারক দু দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে। ওই দুজন ছাড়া অন্য খুনীর এখনো অধরা। অবিলম্বে ওই নৃশংস খুনের ঘটনার সাথে যুক্ত সমস্ত দুষ্কৃতকারীদের গ্রেফতার সহ এলাকার নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিভিন্ন দাবীতে ১ লা মার্চ জেলা শাসক ও জেলা পুলিশ সুপার অফিসে বিক্ষোভের ডাক দিল ‘নাগরিক সুরক্ষা কমিটি’। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উপরোক্ত দাবীতে এলাকার নাগরিক সমাজের উদ্যোগে খুনের পর পরই এক নাগরিক কনভেনশনের মধ্য দিয়ে গঠিত হয়েছে”নাগরিক সুরক্ষা কমিটি”।
কমিটির মুখপাত্র নারায়ণ চন্দ্র নায়ক অভিযোগ করে বলেন, নৃশংস ওই খুনের সাত দিনের মাথায় পুলিশ হাওড়ার শ্যামপুরের বাসিন্দা সেখ ঈশা হক নামে এক খুনীকে মহিষাদল থেকে গ্রেফতার করেছিল। এরপর গত পরশুদিন কোলাঘাট থানার পুলিশ সেখ রাজু নামে অপর এক দুষ্কৃতকারীকে ঈশা হকের বাড়ী থেকে গ্রেফতার করে।
অবিলম্বে সমীর খুনের সাথে যুক্ত সমস্ত দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তার,জিঞাদা-দেউলবাড়-পদমপুর-বরদাবাড়ে হাইমাস্ট লাইট ও বাকী অংশে স্ট্রীট লাইট সহ গুরুত্বপূর্ন স্থানে সি সি ক্যামেরা লাগানো,দেউলবাড় সবিতা রাইস মিল সংলগ্ন স্থানে বাসের স্টপেজ দেওয়া,মেচগ্রাম থেকে কোলাঘাট পর্যন্ত এলাকায় সমস্ত ধরনের চোরাকারবারীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ,এলাকায় পুলিশের নজরদারী বাড়ানো সহ নাগরিকদের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত, মদ-জুয়া-সাট্টা-লটারী সহ সমস্ত বেআইনী কারবার বন্ধের দাবীতে জেলা শাসক ও জেলা পুলিশ সুপার অফিসে বিক্ষোভ-ডেপুটেশন কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২০ নভেম্বর,২০২৩ রাত্রি পৌনে ন’টায় উত্তর জিঞাদা গ্রামের বাসিন্দা স্বর্নব্যবসায়ী সমীর পড়িয়া জিঞাদা বাজারে তার দোকান রাধাকৃষ্ণা জুয়েলার্স থেকে টাকা ও গহনা সহ মোটরসাইকেলে বাড়ী ফেরার পথে মুম্বাই রোডের দেউলবাড় এলাকায় জন্নত হোটেলের উল্টোদিকে রাস্তার ধারে এক নির্জন স্থানে কয়েকজন দুষ্কৃতকারী ওর পথ আটকে মাথা লক্ষ্য করে হেলমেট থাকা অবস্থায় গুলি চালিয়ে খুন করে। এবং সোনা-রূপা-টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়। সমীর ঘটনাস্থলেই মারা যায়।