আশা কর্মীদের বিভিন্ন দাবি দেওয়ার ভিত্তিতে কর্ম বিরতির মাঝে বিক্ষোভ প্রদর্শন কর্মসূচি হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দীঘা অঘোরকামিনী ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। শনিবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর ১ ব্লকের সমস্ত আশা কর্মীবৃন্দ বিভিন্ন দাবি যাওয়ার ভিত্তিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। আশা কর্মীরা জানিয়েছেন রামনগর ১ ব্লকের ১৬৩ জন সহ রাজ্যে প্রায় ষাট হাজার আশা কর্মী আন্দোলনে নেমেছে। আশা কর্মী গীতাঞ্জলি পাত্র সহ আন্দোলনকারীদের দাবি দীর্ঘদিন তাদের মাসোহারা বাড়ছে না। অথচ তাদের ২৪ ঘন্টা কর্মরত থাকতে হয়। তাদের দাবি মাসোহারা সহ ইন্সেন্টিভ মিলিয়ে প্রতিমাসে ৬০০০ টাকা পায়। তাতে তাদের খরচ চলেনা। এই কারণে তাদের দাবি রাজ্য বাজেটে সমস্ত স্তরের বেতন এবং ভাতা বৃদ্ধি হলেও আশা কর্মীদের বেতন ও ভাতা কিছুই বাড়েনি। অভিযোগ তারা দিল্লিতে গিয়ে দাবি জানিয়ে কোন ফল হয়নি। রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনে গিয়ে দাবি জানিয়ে কোন ফল হয়নি। সর্বোপরি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারীক ও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক এর কাছে দাবি জানিয়ে ও তারা বিফল হয়েছে।
সেই কারণে রাজ্যজুড়ে ১লা মার্চ থেকে আশা কর্মীদের কর্ম বিরতি চলছে। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী ৩ মার্চ পালস পোলিওর কর্মসূচি আছে। সেই কর্মসূচিতে ও তারা যোগদান করবে না বলে আশা কর্মী সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তাদের দাবি তাদেরকে স্বাস্থ্য পরিসেবা সহ অন্যান্য পরিষেবার কাজেও নিযুক্ত করা হয়। তার জন্য তাদের অতিরিক্ত কোন কিছুই দেওয়া হয় না। এই বিষয়ে রামনগর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিতাই চরণ সার বলেন আশা কর্মীদের দাবি দওয়া থাকতেই পারে। তা নিশ্চিত ভাবে বিবেচনা করা হবে। মানবিক মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়টি মানবিকতার দিক থেকে দেখবেন। প্রশাসনিকভাবে দাবি-দাওয়া গুলো নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তার ফল নিশ্চয়ই হবে। পালস পোলিওর সময় কর্ম বিরতি ঠিক হবে না। সেই কারণে সরকারি কর্মসূচিতে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছেন।