ছাত্রীকে হেনস্থার অভিযোগে গ্রেফতার হল এক শিক্ষক। দীর্ঘদিন ধরে এক ছাত্রীকে শারীরিক হেনস্থা এবং প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। শুধু ছাত্রীকে প্রাণে মেরে ফেলা নয় তার বাবা এবং পরিবারের লোকেদের ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় বলে নির্যাতিতা ছাত্রীর অভিযোগ। গত বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মারিশদা থানায় এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ দায়ের হয় নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে মারিশদা থানার পুলিশ। অভিযুক্ত জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক বাবলু আলী খানকে শনিবার গ্রেফতার করে। রবিবার কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে ৬ দিনের জেলহাজতের নির্দেশ দেন। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। নির্যাতিতা জানিয়েছে তাকে প্রায় দেড় বছর ধরে শারীরিক হেনস্থা করেছে অভিযুক্ত শিক্ষক। পরে সে জানতে পেরেছে স্কুলের আরো ছাত্রীদের ও হেনস্থা করেছে। প্রাণভয়ে কাউকে কিছু বলেনি।
অভিযুক্ত শিক্ষক বাবলু আলী খান তাকে একটি মোবাইলও কিনে দিয়েছিল। অভিযোগ অভিযুক্ত শিক্ষক নাকি অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত যেসমস্ত ছাত্রীরা পড়াশোনা করে তাদের হেনস্থা করে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। নির্যাতিতা দাবি করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। এভাবে অন্যদের যেন আর কোনদিন শারীরিক হেনস্থা হচ্ছে না হয়।