ভালোভাবে পড়াশোনা করার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছাত্ররা এসে কাঁথি ৩ ব্লকের ঐতিহ্যবাহী বনমালীচট্টা হাইস্কুলের ছাত্রাবাসে থেকে পড়াশোনা করে। প্রায় দুই শতাধিক ছাত্র। অধিকাংশের বাড়ি অনেক দূরে। তাছাড়া সপ্তাহখানেক বাদে শুরু হচ্ছে স্কুলের প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন পরীক্ষা। অন্যরা সবাই যখন বাড়িতে তাদের পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে দোল উৎসব পালন করছে তখন বনমালীচট্টা হোস্টেলের ছাত্রদের রঙ খেলা তো দূরের কথা, বাড়ি যাওয়ার অনুমতি পর্যন্ত মিলছিল না প্রায় কারোরই। ফলে ওদের মন ছিল ভীষণ খারাপ। আর তাই এবার স্কুল ক্যম্পাসের মধ্যেই আবাসিক পড়ুয়াদের দোল উৎসব পালনের উদ্যোগ নিল হোস্টেল কর্তৃপক্ষ। তবে পড়াশোনার কোনোরকম ব্যাঘাত না ঘটিয়ে রঙ খেলার অনুমতি দেওয়া হলো সকাল ৯:৩০ থেকে ১০:৩০ টা পর্যন্ত, মাত্র ১ ঘন্টার জন্য। আর তাতে বেজায় খুশি পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর আবাসিক ছাত্ররা। গুরুজন, শিক্ষকদের পায়ে আবির দিয়ে আশীর্বাদ নেওয়ার পাশাপাশি বিচিত্র রঙের খেলায় মেতে উঠলো ওরা। তাই ওদের মুখে আজ গৃহবাসীর সুর। এদিন সন্ধ্যায় হোস্টেলের প্রার্থনা সভায় দোলযাত্রার বিশেষ তাৎপর্য ও গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে ভালোবাসা, সম্প্রীতি ও ঐক্যের বার্তা দেন হোস্টেল সুপার শিক্ষক অজয় কুমার গিরি।
পরিশেষে সবার জন্য মিষ্টিমুখের ব্যবস্থা করা হয় হোস্টেলের পক্ষ থেকে। সেকারণে প্রতিদিনের নিয়মমাফিক জীবন ছেড়ে, এই দিনটি যেন অনেকটাই অন্যরকম ভাবে কাটালো হোস্টেলের পড়ুয়ারা। উপস্থিত ছিলেন শ্রীকৃষ্ণ ভূঁইয়া, সৌমিত্র মাইতি, সুবিমল দাস, নিতাই খাঁড়া, মানিক বারুই প্রমুখ শিক্ষক, কেয়ার টেকার ও প্রাক্তন ছাত্ররা। হোস্টেল কর্তৃপক্ষের এধরনের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন পরিচালন সমিতির সভাপতি শুকদেব জানা, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গৌতম কর সহ অন্যান্য শিক্ষক ও অভিভাবকরা।