প্রতি বছরের মত এই বছরও মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরার উপর ব্যান পিরিয়ডের নির্দেশিকা জারি হল।বিগত বছর গুলিতে এই দুই মাস মৎস্যজীবি ও তাদের পরিবার আর্থিক চিন্তায় থাকলেও এই বছর রাজ্য সরকারের সমুদ্র সাথী প্রকল্প হাঁসি ফোটাবে মৎস্যজীবীদের বলে মনে করছে মৎস্যজীবি মহল ।
চলতি বছর থেকে ব্যান পিরিয়ডে মৎস্যজীবীদের জীবিকায় সহায়তা প্রদান করার জন্য ‘সমুদ্র সাথী’ নামের একটি নতুন প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পটির মাধ্যমে পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, এই তিনটি জেলার প্রতিটি নথিভুক্ত মৎস্যজীবীকে এই দুই মাসে মাসিক ৫,০০০ টাকা করে প্রদান করা হবে।
যে সকল মৎস্যজীবীদের সামুদ্রিক মৎস্য জীবী কার্ড রয়েছে তারাই এই সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।
এই নয়া প্রকল্পটির ফলে প্রায় ২ লক্ষ মৎস্যজীবী উপকৃত হতে চলেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাজেটে এই খাতে মোট ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে১৪ জুন পর্যন্ত প্রতিবছরের মতো ব্যান্ পিরিয়ডের সময়সীমা শুরু হচ্ছে। এই ব্যান পিরিয়ডের সময় সাধারণ গরিব মৎস্যজীবীরা পুরোপুরিভাবে বেকার হয়ে পড়ে।
ব্যান পিরিয়ড আসা মানেই তাদের কাছে দুঃখের দিন শুরু হতো প্রতি বছরের মত। এবার তাদের জন্য ফিরেছে ভাগ্যের চাকা। দুমাস মৎস্যজীবীরা সরকারি সাহায্যের স্বরূপ ১০ হাজার টাকা করে পাবেন। খুশির হাওয়া মৎস্যজীবী মহলে
পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ কেন্দ্রগুলোতে প্রচুর সংখ্যক মৎস্যজীবী মৎস্য আহরণের সাথে যুক্ত রয়েছেন। এবারের ব্যান পিরিয়ড তাদের কাছে অন্ধকারের দিন না হয়ে আলো স্বরূপ দেখা দিয়েছে “সমুদ্র সাথী” নামে।