পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর দুই ব্লকের হামিরপুর ও দেপাল সংযোগকারী এলাকায় ব্রিজ তৈরীতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যাবহারের অভিযোগকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ালো । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন রাজ্যের কারামন্ত্রী তথা এলাকার বিধায়ক অখিল গিরি । মন্ত্রী এসে উতপ্ত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন।
পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের উদ্যোগে ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহযোগিতায় প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা ব্যায় করে হামিরপুর এলাকায় তৈরি করা হচ্ছে এই কংক্রিটের ব্রিজ। এই কাজের অনুমোদন পায় মেকিং টোস বার লিমিটেড। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ এই ব্রিজের কাজ করার জন্য নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা এই কাজ বন্ধ করে দেয়।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ এই ব্রিজের পিলার এবং পেস্টিং এর ক্ষেত্রে সাধারণত লোকাল বালি ব্যবহার করা হচ্ছে যা নিম্নমানের । এরফলে যেকোনো সময় বিপদ হতে পারে বলে এমনটাই আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা। সেই সঙ্গে তাদের আরও অভিযোগ এই ঢালাই এর ক্ষেত্রে যে চিপস ব্যবহার করা হচ্ছে তাও নিম্নমানের। এদিন সকালে গ্রামবাসীরা দেখেন সাধারণত নিম্নমানের বালি দিয়ে এবং তার সঙ্গে কিছু ভেজাল বালি দিয়ে ব্রিজের কাজ হচ্ছে তখনই গ্রামবাসীরা কাজ বন্ধ করে দেন।
এই সংস্থার কর্মী সনৎ কুমার মন্ডল স্বীকার করেছেন তাদের কাজের ক্ষেত্রে কিছু ভুল ত্রুটি রয়েছে । সেই সঙ্গে প্রত্যেকটি জিনিসের যাতে গুণগত মান ঠিক থাকে তা পরবর্তী সময়ে নজর রাখা হবে বলে জানিয়েছেন।
তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি অনুপ মাইতি বলেন গ্রামবাসীদের অভিযোগ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি এবং দেখি সত্যিকারে নিম্নমানের সামগ্রীতে কাজ হচ্ছে। তখনই আমরা এই কাজটি বন্ধ করি পরবর্তীকালে এলাকার বিধায়ক মন্ত্রী আসেন এবং তার সামনে পুনরায় কাজ শুরু করার আশ্বাস দেওয়া হয়।
অপরদিকে বিজেপির রামনগর দুই ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মাধবেন্দ্র সাউ বলেন আমরা স্থানীয় গ্রামবাসী হিসেবে যখন এই জিনিসটি জানতে পারি তখনই স্থানীয় রামনগর দুই ব্লকের ব্লক আধিকারিক কে আমরা ঘটনাটি জানাই যদি বা ব্লক আধিকারিক বলেন এই ব্যাপারটি তার জানা নেই তবে আমরা রাজনীতির উর্ধে উঠে যেহেতু নিম্নমানের কাজ হচ্ছে তাই সামগ্রীভাবে এই কাজের প্রতিবাদ জানিয়েছি। তাদের আরও দাবি যতক্ষণ না পর্যন্ত এই ব্রিজ নির্মাণের ক্ষেত্রে সঠিক গুণগত মান যদি বজায় না রেখে কাজ করা হয় তাহলে আমরা পরবর্তীকালে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো