ফের চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগে মৃত সদ্যোজাত। সেই ঘটনায় উত্তেজিত জনতা বিক্ষোভ দেখালো এগরা মহকুমা হাসপাতালে। তবে হাসপাতাল চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এগরা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পৌঁছায় এগরা মহকুমা হাসপাতালে। মঙ্গলবার এগরাতে ঘটনাটি ঘটেছ রাত প্রায় ৮টা নাগাদ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ১০ টা নাগাদ পটাশপুরের মল্লিকপুরের বাসিন্দা বাসুদেব দলাই তাঁর গর্ভবতী স্ত্রী দূর্গারানী দলাইকে এগরা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। এদিন সকাল থেকে প্রসব যন্ত্রনায় ভুগছিল দূর্গা। বার বার বলার পারেও কিন্তু নার্স বা ডাক্তার কেউই রোগীকে দেখতে আসেনি বলে পরিবারের লোকেদের অভিযোগ। নার্সেরা মোবাইল গেম খেলায় ব্যাস্ত বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের। এদিন সন্ধ্যাবেলায় প্রচন্ড প্রসব যন্ত্রনা উঠলে পরিবারের লোকেরা নার্সকে জানালে খারাপ ব্যবহার করে নার্স। কোনো ভ্রূক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। ঘন্টা খানেক পরে রোগীকে আইসিইউ তে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষন পরে পরিবারের লোকেদের বলা হয় সদ্যজাত শিশুটি মৃত প্রসব হয়েছে।
তাঁরপরেই পরিবারের লোকেরা হাসপাতাল চত্বরে ক্ষোভে ফেটে পড়ে। এভাবে বার বার চিকিৎসার গাফিলতিতে কেনো শিশু বা তাঁর মায়ের মৃত্যু হচ্ছে প্রশ্ন তোলেন পরিবারের লোকেরা। কিন্তু এ বিষয়ে হাসপাতাল কতৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। পরে এগরা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উঠছে একাধিক অনেকেই চিকিৎসক এবং কর্তব্যরত নার্সের উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন।