লোকসভা ভোটের মুখে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগরে আবারো তৃণমূলে ভাঙ্গন দেখা গেল। মঙ্গলবার ভারতীয় জনতা পার্টির পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি সাংগঠনিক জেলার ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভার বিধায়ক অরূপ কুমার দাস, জেলা সাধারণ সম্পাদক ও কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারী,খেজুরী বিধানসভার বিধায়ক ও জেলা সাধারণ সম্পাদক শান্তনু প্রামাণিক,জেলা সাধারণ সম্পাদক ডঃ চন্দ্রশেখর মন্ডল, প্রাক্তন সাংসদ ও কাঁথি সাংগঠনিক জেলার এক্সিকিউটিভ মেম্বার দিব্যেন্দু অধিকারী,ভগবানপুর বিধানসভার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি, উত্তর কাঁথি বিধানসভার বিধায়ক সুমিতা সিনহা,জেলা ইন-চার্জ সোমনাথ রায়, লোকসভা ইন-চার্জ আনন্দমোহন অধিকারী, লোকসভা কনভেনর অমলেন্দু পাহাড়ী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ এবং ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট কমিটির কার্যকর্তাগন।
রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতিতে এই সভায় রামনগর বিধানসভা এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচবারের পঞ্চায়েত সদস্য তথা প্রাক্তন প্রধান অমিয় রঞ্জন মাইতি,তিনবারের পঞ্চায়েত সদস্য অলক কুমার আদক সহ গোষ্ঠবিহারী দাস,অনুপম মাইতি, রামচন্দ্র বর সহ পঞ্চাশজনেরও বেশী সংখ্যক ব্যক্তি তৃণমূল কংগ্রেস ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল ত্যাগ করে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেলেন।
উনাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অরূপ কুমার দাস ও কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারী।
রামনগর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিতাই চরম সার বলেন এতে দলের কোনো ক্ষতি হবে না। যারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গেছেন তারা আগে থেকেই বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। দলে থাকলেও বিজেপির সঙ্গেই কাজ করছিলেন। যে কারণে দলের কোন ক্ষতি হবে না। তবে পরিস্থিতির উপরে নজরদারি করা হচ্ছে। যারা এই ধরনের মনোভাব পোষণ করে আছেন তাদেরকে দল কোন গুরুত্ব দেবে না।
কাঁথি সাংগঠনিক জেলার মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী রিজিয়া বিবি বলেন যারা বিজেপিতে যোগদান করলেন তারা আগে থেকেই তৃণমূলের থেকে দুরত্ব রেখেছিলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেউ কেউ দলের বিরোধিতা ও করেছেন। সেই কারণে দলের কোন ক্ষতি হবে না।