প্রচারে বেরিয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়লো তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের তৃনমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য।শুধু বিক্ষোভ নয়,প্রার্থীর গাড়ির উপরেও হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
এদিন ভোট প্রচারে নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের একাধিক এলাকায় যান তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু। মূলতঃ এলাকায় ঘুরে জনসংযোগ সারছিলেন তিনি। পথে ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের জেলেমারা ৩৭নং ও বৃন্দাবনপুর ৩৬নং বুথ এলাকায় গেলে দেবাংশুর পথে আটকে দাঁড়ায় বেশ কিছু বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। তাঁরা দেবাংশুকে দেখতে পেয়ে রীতিমতো চোর চোর শ্লোগান তুলতে থাকে। তৃণমূল কর্মীরা কোনও ক্রমে ওই এলাকা থেকে দেবাংশুকে নিয়ে বেরিয়ে যান। দেবাংশুর নির্দেশে কোনও প্ররোচনাতেই পা দেননি তাঁর সঙ্গে থাকা তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। পরে এই ঘটনায় নিজের ক্ষোভ ব্যক্ত করেন দেবাংশু।
গোটা ঘটনা নিয়ে ক্ষুব্ধ দেবাংশুর মন্তব্য,নন্দীগ্রামে নোংরা রাজনীতির খেলা শুরু করেছে বিজেপি। এবারের লোকসভা নির্বাচনে নিজেদের হার নিশ্চিত জেনেই বিজেপির লোকজন এভাবে অসম্মান করছে। ভোটের বাক্সে তৃণমূল এর যোগ্য জবাব দেবে।
দেবাংশুর মতে,এক সময় এই নন্দীগ্রামে একচেটিয়া দাপট দেখাত শুভেন্দু অধিকারী। এখন এলাকায় তাঁর সেই দাপট উধাও। ভেকুটিয়ায় কতিপয় বিজেপি কর্মীকে রাস্তায় লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে ঝামেলা পাকানোর জন্য। তাঁরা তৃণমূল কর্মীদের প্ররোচিত করছিলেন ঝামেলায় জড়ানোর জন্য। তবে তৃণমূলীরা মাথা ঠান্ডা রেখে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে।
দেবাংশুর দাবী,এবারের নির্বাচনে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে ১ লক্ষেরও বেশী ভোটে জিতবে তৃণমূল। নিজেদের পায়ের তলার মাটি হারিয়ে বিজেপি এখন তাই নোংরা খেলায় নেমেছে।
এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাবেন বলে জানা গেছে।
তবে এই ঘটনাকে এলাকাবাসীর স্বতঃস্ফূরত প্রতিবাদ বলেই দাবী করেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা প্রলয় পাল। প্রলয়ের দাবী, “গোটা তৃণমূল দলটাই চোর। হাজার হাজার মানুষকে টাকার বিনিময়ে চাকরী পাইয়ে দিয়েছে তাঁরা। সেই দলের প্রতিনিধি দেবাংশু। তাই তাঁকে এলাকায় দেখতে পেয়েই চোর চোর বলে গ্রামবাসীরা তাড়া করেছিল। ওদের সৎ সাহস থাকলে এলাকায় দাঁড়িয়ে প্রমাণ করে দেখাক ওরা চোর নয়। আবাসের টাকা, আম্ফানের টাকা, ১০০ দিনের টাকা সবেতেই লুঠপাট চালিয়েছে তৃণমূল। এই দলের লোকজনদের দেখলেই সবার চোর চোর বলে তাড়া করা উচিত” বলেই মনে করেন প্রলয়।