পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ২ ব্লকের দেশবন্ধু গ্রাম পঞ্চায়েতের নরাজপুর গ্রামে। গত ২০২৩ সালের ৫ অগাস্ট নরাজপুরের বাসিন্দা ভবানী খাঁড়া নামের এক বৃদ্ধা শারীরিক অসুস্থতার জেরে মানসিক অবসাদগ্রস্থ হয়ে আত্মহত্যা করেন। কিন্তু গ্রামবাসীদের অভিযোগ ছিল বৃদ্ধার ছেলে মনোরঞ্জন খাঁড়া ও বৌমা সৌদামিনি খাঁড়া চক্রান্ত করে ঐ বৃদ্ধাকে প্রাণে মেরে ফেলেছে।
স্থানীয় গ্রাম কমিটির বেশ কয়েকজন মাতব্বর জোর করে বৃদ্ধার ছেলে ও বৌমাকে গ্রাম কমিটির নামে জায়গা সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য শারীরিক নির্যাতন ও মানসিক চাপ সৃষ্টি করে বলে অভিযোগ। কিন্তু তাতে রাজি না হলে বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর ও হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ। এরপরে এগরা থানা ও এগরা ২ ব্লক প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানায় মনোরঞ্জন। অবশেষে জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট অব্দি।
হাইকোর্টের নির্দেশে মনোরঞ্জনের বাড়িতে পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।
এরমধ্যেই গত ২৩ এপ্রিল রাত প্রায় দশ’টা নাগাদ নরাজপুর গ্রামের মাতব্বর ও দুষ্কৃতীরা প্রায় ৬ বিঘা বাদাম চাষের জমিতে বিষ প্রযোগ করে কয়েক লক্ষ টাকা মূল্যের ফসল নষ্ট করে দেয় বলে অভিযোগ। মৃতা বৃদ্ধার পুত্রবধূ সৌদামিনি খাঁড়া অভিযোগ করে বলেন, এলাকার দুষ্কৃতীরা ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছে। প্রতিবাদ করলে আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। এখন আমাদের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা খাবো কি? আত্মহত্যা ছাড়া আমাদের কাছে আর কোনো রাস্তা নাই। পুলিশি নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও বার বার এই ঘটনা কি করে ঘটছে সেবিষয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হয়নি।