একদিকে প্রচন্ড দাবদাহ,অন্যদিকে কাজে বেরিয়ে বাড়ি ফেরার বাস না পেয়ে প্রাণ ওষ্ঠাগত সাধারন মানুষের।
জানা গেছে কুকড়াহাটি থেকে দিঘা এবং কুকড়াহাটি থেকে হিজলি পর্যন্ত প্রায় ৪৫ টা বাস চলত। সেই বাসগুলি আজ থেকে বন্ধ করে দিয়েছে মালিকপক্ষ। এর ফলে কুঁকড়াহাটিতে আসা বিভিন্ন বয়সের যাত্রী পুরুষ ও মহিলা সমস্যায় পড়েছেন।
দিন দিন -ডিজেল মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে কিন্তু রাজ্য সরকার কোন মতেই বাসের ভাড়া বৃদ্ধি করেনি। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী ২০১৮ সালে বাসের ভাড়া বৃদ্ধি হয়েছিল কুকড়াহাটি থেকে হিজলি ও কুকড়াহাটি থেকে দিঘা।
জানা গেছে দিঘা থেকে কুকড়াহাটি পর্যন্ত ভাড়া ছিল ৮৫ টাকা। কিন্তু -ডিজেল মূল্যবৃদ্ধির ফলে ন্যূনতম বাস ভাড়া ১০০ টাকা করেছেন। অভিযোগ একশ্রেনীর বাস মালিক তারা নিজেরাই ৮৫ টাকার ভাড়ার যাত্রীর কাছ থেকে ১৫০ টাকা নিচ্ছিলো জোর করে । বাসের ভাড়া ১৫০ টাকা করে নেওয়ার জন্যে ড্রাইভার কন্টাকটারকে বাসের মালিকরা ড্রাইভার-কনট্রাক্টারকে বাধ্য করতো। এ নিয়ে কোথাও কোথাও সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে বাসের ড্রাইভার হেলপারদের সাথে বচসাও হয়েছে। কিন্তু কাজের তাগিদে বাস মালিকদের কথা অনুযায়ী বাধ্য হয়ে তাদের ৮৫ টাকার ভাড়া ১৫০ টাকায় নিতে হতো। এ নিয়ে কিছু বাস মালিক কে বারবার বলেও কোন কর্ণপাত করেননি জানালেন ড্রাইভার হেলপার একাংশ।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ইউনিফাইড বাস অনার্স অ্যাসোসিয়েশন সম্পাদক শিব প্রসাদ বেরা তিনি বলেন স্থানীয় দুষ্কৃতীরা বাস ব্যবসাটাকে তোলাবাজিতে পরিনত করার চেষ্টা করছে। বেশীর ভাগ বাস মালিক এই কাজে সহমত না হয়ে বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বাস মালিকদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানা নেই যাত্রীদের।তারা তাদের কাজে বেরিয়ে গন্তব্যস্থলে যেতে বাস ধরার জন্যে কুঁকড়াহাটি স্টেশনে এসে বিপদে পড়েছেন।