কোলাঘাটের বরদাবাড়ে দিনদুপুরে নৃশংস খুনের প্রায় এক মাস পর অবশেষে পুলিশ গুজরাট থেকে গ্রেফতার করল মুল অভিযুক্ত খুনী সায়ন দাসকে।
গত ১৫ এপ্রিল কোলাঘাট থানার বরদাবাড় বাজার সংলগ্ন স্থানে তপতী মান্না নামে এক মাঝবয়সী বিধবা মহিলা খুনের চারদিন পর পুলিশ হুগলীর চন্ডীতলা থেকে সেখ শাহাজাহান নামে এক খুনীকে গ্রেফতার করেছিল।
গ্রেফতারের সময় শাহাজাহানের কাছ থেকে রক্তমাখা সাড়ে ১৮ হাজার টাকা ও তপতী মান্নার গলার চেন/আংটি সহ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের একটি ফোন উদ্ধার করেছিল পুলিশ। পুলিশী জেরায় খুনী চুরির টাকায় ফোনটি কিনেছে বলে কবুল করে। মুল অভিযুক্ত ভাড়াটিয়া সায়ন দাসকে অবশেষে গতকাল গুজরাট থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তবে তার স্ত্রী এখনো বেপাত্তা।
জানা যায়, ২০১৭ সালে সায়ন দাস ও সেখ সাহাজাহান মাদক চুরির ঘটনায় একসঙ্গে জেল খেটেছিল। এবং বর্ধমানের বাসিন্দা এই সায়ন কথিত নাবালিকাকে ফুসলিয়ে এনে একসঙ্গে তপতীর বাড়ীতে ভাড়ায় থাকত। সায়ন বরদাবাড় পার্শ্ববর্তী তারা মা হোটেলে কাজ করতো,সেখানে ঘটনার দিন ওই খুনী সহ সায়নকে মদ খেতে দেখা গিয়েছিল।
নাগরিক সুরক্ষা কমিটির মুখপাত্র নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন,অবিলম্বে ওই নৃশংশ খুনের ঘটনার সাথে যুক্ত সায়ন দাসের স্ত্রীকে গ্রেফতার করতে হবে। এবং ঘটনার সাথে যুক্ত সবাইকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
নারায়নবাবুর আরো অভিযোগ,গত ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে বরদাবাড় থেকে জিঞাদা বাজারের মধ্যবর্তী স্থান দেউলবাড়ে স্বর্ন ব্যবসায়ী সমীর পড়িয়া খুনে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করলেও বাকীরা এখনো অধরা। বর্তমানে মুম্বাই রোডের কোলাঘাট থেকে পাঁশকুড়া পর্যন্ত এলাকা অপরাধজগতের লোকজনদের কবলে। ফলস্বরূপ এলাকায় খুন-চুরি-ছিনতাই-রাহাজানির ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবিলম্বে ওই ঘটনার পূর্নাঙ্গ তদন্ত করে বাকী খুনীদেরও অবিলম্বে গ্রেপ্তার সহ এলাকায় দুষ্কৃতকারীদের দৌরাত্ম্য বন্ধে পুলিশ পিকেট বসানো,বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন স্থানে সিসি ক্যামেরা ও হাইমাস্ট লাইট লাগানো সহ পুলিশের নজরদারি বাড়াতে হবে। ওই দাবীতে কমিটির পক্ষ থেকে জেলা শাসক, জেলা পুলিশ সুপার,সি.আই.,বিডিও,ও.সি’র নিকট ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে।