হেঁড়িয়া শিবপ্রসাদ ইনস্টিটিউশনের আনন্দ ভবনে অনুষ্ঠিত হলো অন্তরের রবীন্দ্রনাথ শীর্ষক অনুষ্ঠান।
শিবশঙ্কর কামিলার সঞ্চালনায় উত্তম গুড়িয়ার তত্ত্বাবধানে কবির প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় “আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর” রুমেলা ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য শিল্পীদের সংগীতের মাধ্যমে। সমীর পন্ডার কোরিওগ্রাফিতে রুদ্র পন্ডা,মধুরিমা পড়্যা, মন্দিরা ভৌমিক ,প্রেরণা মাইতি, অনন্যা মান্না, পিয়ালী দাস, স্নেহা প্রধান, সহ অন্যান্য নৃত্য শিল্পীরা কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে পরিবেশন করে “প্রনমী তোমারে”
দ্বিতীয় পর্যায়ে বিষ্ণুপদ জানার সঞ্চালনায় নৃত্য, সঙ্গীত, কবিতা পাঠের মাধ্যমে কবিকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।”আগুনের পরশমণি” /”হারে রে রে রে রে আমায় ছেড়ে দেরে” /”আয় তবে সহচরী” /”কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা” /”ওরা অকারনে চঞ্চল” /”আহা আজি এ বসন্তে”/”প্রেমের জোয়ারে”/”পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে” রবি ঠাকুরের গানের সঙ্গে ছোটরা নৃত্য পরিবেশন করে মধুরিমা পড়্যা ,মন্দিরা ভৌমিক ও অনন্যা মান্নার তত্ত্বাবধানে ।সৃঞ্জন মাইতির আফ্রিকা কবিতা, প্রান চায় চক্ষু না চায় সৌমেধিক কামিলার মাউথ অর্গান,এছাড়া “পিনাকীতে লাগে টঙ্কার” ও অভিধা পরিয়ারীর “এ কি লাবন্যে” এই গানের মাধ্যমে উপস্থিত দর্শকের মন জয় করে।
তৃতীয় পর্বে সমাদৃতা মাইতি ও অর্চিতা মাইতি মাইতির সঞ্চালনায় “তুমি কোন কাননের ফুল”/ “হে সখা মম হৃদয়ে রহো” দুটি অসাধারণ নৃত্য পরিবেশিত হয়। অনুত্তম পরিয়ারীর “তোমার আমার বিরহের অন্তরালে” ও প্রিয়াঙ্কা নন্দের” বধূ কোন আলো লাগলো চোখে” মাধ্যমে তৃতীয় পর্বের অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘটে।
চতুর্থ পর্বে প্রতীক জানার সঞ্চালনায় “শ্রাবনের ধারার মতো” সঙ্গীত পরিবেশন করেন তনুশ্রী কর জানা। ” নব আনন্দে জাগো” ও “এরা সুখের লাগি”এই দুটি গানের উপর নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে চতুর্থ পর্বের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
শেষ পর্বে অনুষ্ঠানের বিষয় ছিল “আমার চোখে রবীন্দ্রনাথ” নাট্যকার ধীরেন্দ্রনাথ প্রধান সহ উপস্থিত গুনী মানুষরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। অবশেষে নবধারার সংস্থার কর্ণধার সমীর পন্ডা এবং রুদ্র পন্ডা সমাজে সুস্থ-সংস্কৃতিক চর্চা কে ছড়িয়ে দিতে রবীন্দ্র চর্চার গুরুত্ব তুলে ধরেন।