মাঝে আবহাওয়া খানিক স্বস্তি দিলেও ফের বাড়তে শুরু করেছে গরম। আর সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রক্ত সংকট। গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে বিভিন্ন ব্লাড ব্যাংকগুলোতে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগী বা অন্যান্য ক্ষেত্রে অসুস্থ রোগীর প্রয়োজনীয় রক্তের জন্য চলছে হাহাকার। এই কঠিন পরিস্থিতিতে মানুষের প্রয়োজনীয় মূল্যবান রক্ত নিজেরা দিয়ে অথবা রক্তদাতা জোগাড় করে বিপদের মুহূর্তে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে ফেয়ার ফিল্ড এক্সিলেন্স পরিচালিত এফ এফ ই লিভিং ব্লাড ব্যাংক এর সদস্যরা। প্রতিদিন রক্তের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে অনেকেই ফোন করছেন এই সংস্থার সদস্যদের। আর ফোন আসার সঙ্গে সঙ্গেই সকলে একত্রে মিলে রক্তের খোঁজ শুরু করে প্রয়োজনীয় রক্ত রোগীর কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন এফ এফ ই লিভিং ব্লাড ব্যাংকের সদস্যরা।
আজ সারাদিন তিনটি আবেদন আসে।সোমাশ্রী বারুই,প্রিয়াংশু পাট্টা ও সুলেখা গায়েন নামের তিন থ্যালাসেমিয়া শিশুর যথাক্রমে এ পজেটিভ,এবি পজেটিভ ও এ পজেটিভ রক্তের আবেদন আসে। রক্তদান করেন এফ এফ ই লিভিং ব্লাড ব্যাংকের সদস্য শুভেন্দু দাস, জয়দেব বেরা ও কাঁথি কার্ড ব্যাংকের স্টাফ দেবকুমার দত্ত। এফ এফ ই লিভিং ব্লাড ব্যাংক ইনচার্জ সুনীল দাস বলেন,” প্রয়োজনের সময় মানুষকে রক্তের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য আমরা এই লিভিং ব্লাড ব্যাংক তৈরি করে ছিলাম প্রায় দু বছর আগে। এই সময় কালে আমরা পাঁচশো তেইশ জন রোগীকে রক্ত দিতে পেরেছি।”
ফেয়ার ফিল্ড এক্সলেন্স এর সভাপতি তেহেরান হোসেন বলেন,” রক্তদান আন্দোলনকে একটা সংগঠিত রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছি আমরা। একদিকে যেমন আমরা লিভিং ব্লাড ব্যাংকের মাধ্যমে প্রয়োজনের সময় রক্তের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি তেমনি অন্যদিকে আমরা প্রতিমাসে একটি করে রক্তদান শিবির করছি।” সম্পাদক সনাতন জানা সকল রক্তদাতাকে ধন্যবাদ জানান এবং সেই সঙ্গে শারীরিক ভাবে সুস্থ সবল মানুষদের রক্ত দানে এগিয়ে আসার আহবান জানান।