বুধবার গভীর রাত থেকে উতপ্ত হয়ে উঠলো নন্দীগ্রাম । রাতের অন্ধকারে সোনাচূড়া এলাকায় সশস্ত্র বাইক বাহিনীর হামলায় বিজেপির এক মহিলা কর্মীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ছড়ালো উত্তেজনা।অভিযোগ এই হামলার জেরে গুরতর জখম হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী। এদের মধ্যে এক জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। তবে এখনও পর্যন্ত এই হামলার ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীরা অধরা বলেই পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
বিজেপি অভিযোগ করেছে লোকসভা নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে নন্দীগ্রামকে অশান্ত করে তুলতে তৃনমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই তান্ডব চালিয়েছে।যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।সেই সাথে এই ঘটনার জন্যে বিজেপির আদি-নব্যের গোষ্ঠী কোন্দলকে দায়ি করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোট প্রচারের শেষ লগ্নে সোনাচূড়ার মনসাপুকুর বাজার এলাকায় বিজেপির কর্মীরা রাত পাহারা দেওয়ার সময়ই একদল সশস্ত্র বাইক বাহিনী তাদের ওপর চড়াও হয়। ধারালো অস্ত্রের এলোপাথাড়ি আঘাতে রথিবালা আড়ি নামের মহিলা বিজেপি কর্মী রক্তাক্ত হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। মা’কে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হয় ছেলেও। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয় বলে দাবী বিজেপির।
খবর পেয়ে এলাকাবাসীরা ছুটে এলে দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। গ্রামবাসীরা জখম রথীবালা সহ অন্যদের দ্রুত নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মহিলাকে মৃত বলে জানান। সেই সঙ্গে রথীবালার ছেলে সঞ্জয় আড়ির অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এছাড়াও জখম আরও প্রায় ৭ জন বিজেপি কর্মীকে নন্দীগ্রাম হাসপাতালেই চিকিৎসা করা হয়েছে বলে খবর। এই ঘটনার পরে ব্যাপক উত্তেজনার পারদ চড়েছে গোটা এলাকায়।