সেতু নির্মাণের জন্য ঠিকাদার সংস্থাকে বরাদ দেওয়া হলেও সেতু নির্মাণের কাজ না হওয়ায় এলাকায় ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। রামনগর ২ ব্লকের মৈতনা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬ টি ঢালাই সেতু নির্মাণের জন্য ন্যাশনাল প্রজেক্ট কন্সট্রাকশন কর্পোরেশন লিমিটেড নামক ঠিকাদার সংস্থাকে বরাদ দেওয়া হয় গত ২৩ নভেম্বর ২০২৩। কিন্তু প্রায় ছয় মাস কেটে যাওয়ার পর আজও এই ছয়টি সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হলো না। চরম দুর্ভোগে পড়ছে বাদলপুর এবং মৈতনা গ্রাম পঞ্চায়েতের বহু মানুষ। ভাঙা কাঠের সেতুর উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষ, ছাত্র-ছাত্রী, বয়স্ক ও অসুস্থ মানুষ জন পারাপার করছেন। মৈতনা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পিনাকী দিন্দা জানিয়েছেন এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবিতে এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই সেতুগুলি নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ করে সেচ ও জল সম্পদ দপ্তর। ছয়টি সেতুর জন্য বরাদ্দ হয় ১৪ কোটি ৫৪ লক্ষ ৯১ হাজার ৯৩১ টাকা। এই বিষয়ে রামনগর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনুপ গিরি বলেন কাজটি আটকে থাকার জন্য একাধিকবার জেলা পরিষদে জানানো হয়েছে কিন্তু জেলা পরিষদ সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে কাজ করার নির্দেশ দিলেও কোন কাজ হয়নি।
সেতু গুলি হলো তেঁতুলতলা, উত্তর কল্যাণপুর, দক্ষিণ কল্যাণপুর, ভূঁইয়াজীবাড়,আহাম্মদপুর ও খিদিরপুর এলাকায় ক্যানেলের উপরে ঢালাই সেতু নির্মাণ হওয়ার কথা এবং সেইমতো ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থা কে। এই কাজ না হওয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে মানুষের ক্ষোভ জমছে। এই কাজ না হওয়ার জন্য এলাকার জনপ্রতিনিধি সহ সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ। এ বিষয়ে মৈতনা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান তথা জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ তমাল তরু দাস মহাপাত্র বলেন এন পি সি সি লিমিটেড সংস্থাটি কেন্দ্রীয় সরকারের অধিগৃহিত। তাদের জেলা পরিষদ, জেলাশাসক এবং সেচ দপ্তর কাজের জন্য চাপ সৃষ্টি করলেও কৌশল করে কাজটি করেনি। তমাল বাবু দাবি করেছেন এর এরমধ্যে রাজনৈতিক অভিসন্ধি থাকতে পারে। নির্বাচনকে নিয়ে সবাই ব্যস্ত হয়ে যাওয়ার জন্য বিষয়টি নিয়ে আর এগোন যায়নি। নির্বাচন শেষ হয়েছে বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হবে এবং দ্রুত কাজ করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।