কুনাল ঘোষ-শিউলী সাহারা ফিরে যেতে না যেতেই উতপ্ত হয়ে উঠলো খেজুরী।তৃনমূলের প্রতিবাদ সভায় আসায় শাসক দলের কর্মীদের ধরে ধরে হুমকী দিচ্ছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।এমনকি এক বুথ সভাপতিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলাও করা হয়েছে।ঘটনাকে ঘিরে ফের উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
লোকসভা ভোটের পর থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ঘাসফুল শিবিরের কর্মীদের বাড়িতে হামলা, দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। বিশেষ করে খেজুরীতে লাগাতার এ ধরনের ঘটনার খবর পেয়ে উদ্বিগ্ন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। এবার দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে খেজুরীতে শুক্রবার আসেন কুণাল ঘোষ, বীরবাহা হাঁসদা, শিউলি সাহা। তাঁরা সেখানে পৌঁছে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলে শ্যামপুর মোড়ে জনসভাও করেন।অভিযোগ এই সভার পরেই ফের তৃনমূল কর্মীদের উপরে হামলা শুরু হয়।
খেজুরীব ২ ব্লক তৃনমূল সভাপতি সমুদ্ভব দাশ জানিয়েছেন এই সভা সেরে বাড়ি ফেরার পথে বোগার কাছে তাঁদের এক বুথ সভাপতি বৃহস্পতি মাইতিকে আটকে জবাব দিহি চায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।এই নিয়ে কথা কাটাকাটি হতেই বৃহস্পতি মাইতির উপরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় সেই দুষ্কৃতীরা।গুরুত্বর আহত হয় এই বুথ সভাপতি।সমুদ্ভব বাবু জানিয়েছেন এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় পরীক্ষিৎ মন্ডল নামের এক কর্মীও আহত হয়।খবর পেয়ে তৃনমূল কর্মীরা ঘটনাস্থলে দৌড়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি শুক্রবার রাত্রে নিজকসবা পঞ্চায়েতের মেদিনগরে হানিফ নামে এক তৃনমূল কর্মীর উপরেও বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা করে বলে অভিযোগ করেছেন সমুদ্ভব দাশ।তিনি জানিয়েছেন হামলার খবর পেয়ে সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।উদ্ধার করে হানিফকে।
তৃনমূল কর্মীদের উপরে হামলার ঘটনায় পুলিশ কয়েক জনকে আটক করেছে বলে জানিয়েছেন তৃনমূলের ব্লক সভাপতি