#কলকাতা: শেষ কয়েকদিন ধরে জ্বালানি তেলের মতই ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি ভোজ্য তেল মজুত রয়েছে দেশে।কিন্তু তেলের মার্চেন্টদের দাবি ইম্পোর্টাররা দাম বেশি নিচ্ছে। তাই পামোলিন, সূর্যমুখী তেল,সয়াবিন তেলের দাম অনেক বেড়েছে। সব থেকে মজার,পাম তেলের দাম সরষের তেলের থেকে বেশি।
ব্যবসায়ীদের দাবি, বাজারের বেশ কিছু বড়ো ভোজ্য তেলের কোম্পানি রয়েছে তারা বিদেশ থেকে তেল আমদানি করে। আমাদের দেশে পাম তেল ও সয়াবিন তেলের চাহিদা অনেক বেশি। যেহেতু সরষের তেলের দাম সাধারণ মানুষের সাধ্যের থেকে অনেকটা বেশি থাকে, তাই সেখানে মানুষ ওই তেল গুলি ব্যবহার করে। ব্যবসায়ীদের দাবি, ২৮শে এপ্রিল ইন্দোনেশিয়া সরকার ভারতে পাম তেল রফতানি করা বন্ধ করেছে। কারণ সে দেশ,তাদের দেশের চাহিদা না মিটিয়ে,অনেক বেশি পরিমাণে পাম তেল রফতানি করছিল। যার ফলে ইন্দোনেশিয়ায় পামোলিনের দাম অনেক বেশি হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন – রেল স্টেশনের স্বামী সন্তানের সামনে প্রেগন্যান্ট মহিলাকে টেনে নিয়ে চলল পাশবিক অত্যাচার
এদিকে তেল সরবরাহ কমে যাওয়ার আশঙ্কায় তিন দিনে ১৫ শতাংশ দাম বেড়েছে আমাদের দেশে। যেহেতু সরষের তেল আমাদের দেশীয় পণ্য,সেহেতু একমাসের বেশি দাম একই আছে।কোনো তেলের যোগানে,বাজারে ঘাটতি নেই।ব্যবসায়ীদের দাবী,কেন্দ্রীয় সরকার যাই বলুক,ইম্পোর্টাররা দাম বাড়িয়েছে। পাইকারি দর হিসাবে,এখন পাম তেল ১৭২ কেজি, এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৬০ টাকা সরষের তেল ১৭০ টাকা কেজি। তিন সপ্তাহ ধরে একই আছে।কারণ এটি আমাদের দেশীয় উৎপাদন।সূর্যমুখী তেল এক কিলো ১৯০ টাকা। এক মাস একই আছে।কারণ এই তেলের চাহিদা অনেক কম। রাইস ব্র্যান্ড ১৩৫ টাকা কেজি ছিল তিন সপ্তাহ আগে। এখন ১৫৫ টাকা। সোয়া রিফাইন ১৮০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৬৫ ।
সরষের তেলের দাম যেহেতু অনেক বেশি।তাই মানুষ আনুষঙ্গিক হিসাবে এই তেল ব্যবহার করত। কিন্তু এখন আমাদের দেশের মানুষের কাছে সরষের তেলের দাম অনেক কম। পাশাপাশি চিকিৎসকরা বলছেন ,খাঁটি সরষের তেল খেতে । ব্যবসায়ীদের দাবি ,৬ই এপ্রিলের পর থেকে পাম,সোয়া তেলের দাম কেজি প্রতি দশ থেকে পনের টাকা কমতে পারে।তবে একশ টাকার আশেপাশে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
SHANKU SANTRA
Published by:Debalina Datta
First published:
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Edible Oil, Oil