কেকা মিত্র :- বিভাব নাট্য একাডেমী ২৭ বছর অতিক্রম করে ২৮ বছরে পদার্পণ করলো। তারা ১৬ ও ১৭ ই জুন কলকাতার একাডেমী মঞ্চে তাদের নিজস্ব চারটি প্রোযোজনা মঞ্চস্থ করার মধ্য দিয়ে এবছরের প্রতিস্ঠা দিবস পালন করলো। প্রথম দিন সুচিত্রা ভট্টাচার্য এর গল্প ছায়ায় নির্মিত নাটক ‘ টান’ । নাটকটির নাটকটার সঞ্জয় সেনগুপ্ত ও নির্দেশক রাজা ব্যানার্জী। দ্বিতীয় নাটক গুঞ্জন প্রসাদ গাঙ্গুলী রচিত ও নির্দেশিত’ দিনান্তে ‘ মঞ্চস্থ হয়।
দ্বিতীয় দিন প্রথম নাটক মঞ্চস্থ হয় গুঞ্জন প্রসাদ গাঙ্গুলির লেখা ‘ জীবনের রূপকথা ‘ এবং শেষে রাজা ব্যানার্জী সম্পাদিত ও নির্দেশিত নাটক ‘চরন এসময় ‘। পরবর্তী পর্যায়ে
রামগড় কমিউনিটি হলে অনুষ্ঠিত হলো দুদিনের বিভাব নাট্য একাডেমীর ২৮ তম নাট্য উৎসব।
গত ২৭ থেকে ২৯ জুন দক্ষিণ কলকাতার রামগড় কমিউনিটি হলে এই নাট্য উৎসব অনুষ্ঠিত হলো। এই উৎসবের প্রথমদিন জীবন কৃতি সন্মান দেওয়া হয় নাট্যকার চন্দন সেন কে। গুরু প্রণাম জানানো হয় নাট্য অভিনেতা অসিত বসুকে এবং সংবর্ধনা জানানো হয় অভিনেত্রী ভদ্রা বসুকে। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ও নাট্য আলোচক ইন্দ্রজিৎ আইচ। এইদিন এই বিশেষ অতিথিদের হাত দিয়ে
প্রকাশিত হলো বিভাব নাট্য একাডেমীর নাট্য পত্রিকা। এই পত্রিকায় নাটকের সাথে ম্যাজিকের অন্তরঙ্গ সম্পর্ক নিয়ে কলম ধরেছেন জাদুকর ও সাংবাদিক ইন্দ্রজিৎ আইচ। অন্যান্য লেখক দার মধ্যে লিখেছেন প্রয়াত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, পবিত্র সরকার, সৌমিত্র বসু, দেবাশিস বন্দোপাধ্যায়, সঞ্জয় সেনগুপ্ত, অরুন কুমার চৌধুরী, গুঞ্জন প্রসাদ গাঙ্গুলি,চন্দন সেন এর সাক্ষাৎকার সহ নানা গুণীজন নাট্য ব্যক্তিত্বদের লেখা। বইটির দাম করা হয়েছে মাত্র ১০০ টাকা। বই টি সকল অতিথিরা উদ্বোধন করে এই উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানান।
প্রথমদিন মঞ্চস্থ হয় বিভাব নাট্য একাডেমীর নাটক ” দিনান্তে “।
রচনা ও নির্দেশনা গুঞ্জন প্রসাদ গাঙ্গুলি। পরে মঞ্চস্থ হয় সৃষ্টি সালকিয়ার নাটক ” ভগবান ও
ভুল করে “। নাট্যরূপ এবং নির্দেশনা হরপ্রসাদ চক্রবর্তী।
দ্বিতীয়দিন পরিবেশিত হয় ইছাপুর আলেয়ার নাটক স্পর্শ। রচনা সঙ্গীতা চৌধুরী। নির্দেশনা শুভেন্দু মজুমদার। এর পর মঞ্চস্থ হয় কাঁচরাপাড়া ফিনিক এর নাটক বন্ধনহীন গ্রন্থি। রচনা অতনু মজুমদার। নির্দেশনা কাবেরী মুখার্জী। এইদিন এর শেষ নাটক ছিলো রাধাকন্তপুর
স্বপ্নদিশারী র নাটক একাকী বিজনে। রচনা ও নির্দেশনা
গুঞ্জন প্রসাদ গাঙ্গুলী। এই তৃতীয় পর্যায় এর উৎসবের শেষ দিন
মঞ্চস্থ হয় অঙ্গন বেলঘরিয়া র নাটক শরতের কবি। রচনা বেবি সেনগুপ্ত। নির্দেশনা অভি সেনগুপ্ত। পরিবেশিত হয় গোবরডাঙ্গা নাবিক নাট্যম এর নাটক দর্পণ। রচনা মোহিত চট্টোপাধ্যায়। নির্দেশনা জীবন অধিকারী। এই উৎসবের শেষ নাটক ছিলো সালকিয়া সব্যসাচী
র নাটক আমার বন্ধু অমল।
নাট্যরূপ সুব্রত নাগ। পরিচালনা অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়। বিভাব এর পরবর্তী আরো দুটি পর্যায় নাট্য উৎসব অনুষ্ঠিত হবে নৈহাটি ঐকতান মঞ্চে এবং শান্তিনিকেতন এর সৃজনী মঞ্চে।সব মিলিয়ে জমে উঠেছিলো এবারের তৃতীয় পর্যায়ে বিভাব নাট্য একাডেমীর
২৮ তম নাট্য উৎসব।