Select Language

[gtranslate]
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শুক্রবার ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শহীদ দিবসের প্রস্তুতি সভা কাঁথি টাউনহলে।

একুশে জুলাই শহীদ দিবস। সেই  শহীদ দিবসের প্রস্তুতি সভা আজ সম্পন্ন  হলো কাঁথি টাউনহলে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিধায়ক উত্তম বারিক বলেন ওই দিনটিতে যারা শহীদ হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের পরিবারকে ডেকে সম্বর্ধিত করেন।তিনি আরো বলেন  ২০১১ সালের আগে যে উন্নয়ন হয়নি ২০১১ সালের পর  তা সমভব হয়েছে।
কাদা রাস্তার উপর হাঁটতে হতো,বর্ষার সময় বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলটাও বের করা যেত না। আজ পরিস্থিতি বদলে গেছে।



বলেন ১৯৯৪ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই শহীদ দিবসের সূচনা করেছিলেন।সমস্ত ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব অঞ্চল তৃণমূল নেতৃত্ব কর্মী সমর্থকদের সাথে নিয়ে।বিগত বছরগুলোর মতো এবছরও শহীদ দিবস পালিত হবে।এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন সমস্ত ব্লক, অঞ্চল ও বিধান সভা জুড়ে নেতারা প্রস্তুতি সভা করবেন। বিধানসভা জুড়ে প্রস্তুতি সভা করবেন।জেলার পক্ষে কিছু ফ্লেক্স দেওয়া হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর সংগ্রামী অভিযানের কথা জনগণের কাছে তুলে ধরতে কর্মী সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে ।


দলের সাংগঠনিক জেলা চেয়ারম্যান বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি বলেন ২০২০ সালে আমাদের যারা অভিভাবক ছিল তারা হঠাৎ করেই অন্য দলে চলে গিয়ে  গদ্দারি করেন। ২০২১ সালে আমরা নিজেরা নিজেদের অভিভাবক হয়ে লড়াই শুরু করেছিলাম। নির্বাচনে আমাদের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ভাল ফল করেছিল।দুটো পৌরসভা নির্বাচন হয়েছে ২০২২ সালে তাতে আমরা জিতেছি।ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে আমরা জেলা পরিষদ দখল করেছি।লোকসভা নির্বাচন নিয়ে আমরা অনেক আশাবাদী ছিলাম। ব্রিগেডের মঞ্চে উত্তম বারিককে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা থেকেই আমাদের মধ্যে এক তীব্র উন্মাদনা কাজ করেছিল। মানুষের মধ্য থেকে উঠে আসা একজন প্রার্থীকে দিদি প্রার্থী করেছেন।কিন্তু আমরা জিততে পারিনি, রায়ের পর থেকেই  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়  উত্তম বারিকের চোখ দিয়ে এই জেলাকে দেখেছেন। সাফল্য আনতে কখনো জিততে কখনো বা পিছাতে হয়। কারণ আমরা যাদেরকে নিয়ে সংগঠন করছি  তাদেরও একবার পরীক্ষা করে নিতে হয়।উত্তম বাবু হেরেছেন তার থেকেও বড় কথা হলো আমরা বড় একটা সুযোগ হারিয়েছি।সারা রাজ্যের যে যে সাফল‍্য পেয়েছি সেক্ষেত্রে কাঁথি লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেস জিতলে বিজেপির শ্বাস নেওয়া বন্ধ হয়ে যেত ।

সাংগঠনিক জেলা মুখপাত্র অপরের সাঁতরা বললেন একুশে জুলাই শহীদ দিবসের প্রস্তুতির পাশাপাশি এখানে আর একটি লড়াইয়ের সাফল্যের  শপথ আমাদের নিতে হবে। আসন্ন কন্টাই কো অপারেটিভ ব্যাংকের নির্বাচন। যদিও সমবায নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকে না বা সরাসরি দল যুক্ত নয় তবুও আমাদের অনুগামী প্রার্থীদের ১৪ টি নির্বাচন ক্ষেত্র  থেকে ১১০ জন ডেলিগেটেডকে জিতিয়ে আনার শপথ নিতে হবে। পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি বলেন লোকসভা নির্বাচনে আমার ভগবানপুর বিধানসভা ক্ষেত্রে  মার্জিন ছিল ২৭  হাজারের  বেশি তা কমিয়ে প্রায ৫০০ নামিয়ে আনা গেছে। আগামী বিধান সভায়  কাঁথি লোকসভার ৭টি বিধানসভা ঐক্যবদ্ধ লড়াইতে তৃণমূলকে উপহার দেওয়ার জন্য আজ শপথ নেওয়ার দিন।

জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন  একুশে জুলাই অমর শহীদ দিবস। দিনটি গণতন্ত্র রক্ষার দিবস। বামফ্রন্ট সারা বাংলায় যে নৈরাজ্য চালিয়েছিল  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তুলে বলেন নো আইডেন্টিটি নো ভোট।লাখো লাখো কংগ্রেস কর্মীদের নিয়ে তিনি সেদিন মহাকরণ অভিযান করেছিলেন। যেখানে ১৩ জন কংগ্রেস কর্মী শহীদ হয়েছিলেন। দিনটি  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরম শ্রদ্ধার সাথে শহীদ দিবস হিসেবে পালন করেন।সারা ব্লক সারা অঞ্চলের কর্মীরা  তাই এই দিনটার জন্য তাকিয়ে থাকে ধর্ম তলায় গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং  অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কি বার্তা দিচ্ছেন সেটা শোনার জন্য।

  অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাজ্যের প্রাক্তন সমবায় মন্ত্রী তথা হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জ্যোতির্ময় কর,জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ তমালতরু দাস মহাপাত্র প্রমূখ। সভা মঞ্চে দেখা যায়নি রামনগরের  বিধায়ক রাজ‍্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি এবং কাঁথি সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি তথা কাঁথি পৌরসভার চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরিকে।

এ প্রসঙ্গে পীযুষ পণ্ডা  বলেন এই সময়ে তাদের একটি মিটিং আছে। আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছি তারা তাদের  বিধানসভার ক্ষেত্রে  মিটিং-এ ব্যস্ত আছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের কোন আমরা ওরা নেই, এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর দল। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। লোকসভা হারের  প্রসঙ্গে পীযুষ পান্ডা বলেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের  মন কখনো ভেঙ্গে যায় না। আর কিছুদিনের মধ্যেই আপনারা দেখতে পাবেন রাজনৈতিক কর্মসূচি আমরা ধীরে ধীরে বাড়িয়ে দেব।

ekhansangbad
Author: ekhansangbad

Related News

Also Read