পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি-১ ব্লকের শৌলা মৎস্য আহরণ কেন্দ্র সংলগ্ন খালে চড়া পড়ায় মৎস্য জীবীরা সমস্যায় পড়েছেন। অবিলম্বে শৌলা খালে ড্রেজিংয়ের দাবি জানিয়েছেন মৎস্যজীবীরা।
জানা গেছে সমুদ্র ও খালের সংযোগস্থলে মোহনার কাছে বিরাট অংশ চড়া পড়েছে। ট্রলার-লঞ্চ মোহনায় ঢোকার সময়ে চড়ায় ধাক্কা খেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়ছেন মৎস্যজীবী ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা। এই পরিস্থিতিতে ড্রেজিংয়ের দাবি উঠেছে।
উল্লেখ্য, শৌলা মৎস্য আহরণ কেন্দ্র থেকে ৭০টি ট্রলার, ৪০টি ফিশিং লঞ্চ, ৬০টি ফিশিং বোট এবং ৩০টি হাতনৌকা সমুদ্রে মৎস্যশিকারে যায়। এখানে ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার মানুষের জীবন- জীবিকা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে। মাছ ধরে এবং শুঁটকি তৈরি করে বহু মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে পলি জমতে জমতে খাল ও সমুদ্রের সংযোগস্থলে অনেকটা অংশজুড়ে চড়া পড়ে গিয়েছে। আর তাতেই বিপত্তি ঘটছে। আবার দু’পাশে পলি জমতে জমতে খালের একাধিক জায়গা সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া, মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, সেচদপ্তর খালের পাড় বাঁধানোর সময় তোলা প্রচুর মাটি জেটির গোড়ায় ফেলে দিয়েছে। এর ফলে জেটির জায়গা অনেকটাই ছোট হয়ে গিয়েছে এবং সেখানে ট্রলার-লঞ্চ নোঙর করার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। সব মিলিয়ে নাব্যতা সমস্যা শৌলার মৎস্যজীবীদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শৌলা অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে অবিলম্বে ড্রেজিংয়ের প্রয়োজন বলে ড্রেজিংয়ের আর্জি জানিয়েছে মৎস্যদপ্তরের কাছে ।