বিজেপি নেতা শঙ্কু দেব পন্ডার বিরুদ্ধে মানহানি মামলার হুঁশিয়ারি জেলার মৎস্যজীবী নেতা তথা কাঁথি ১ পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা আমিন সোহেল এর। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আমিন সোহেল বলেন শঙ্কু দেব পন্ডা অভিযোগ করেছেন আমি ডিআরডিওর কাজে বাধা দিচ্ছি। এই কথা ভিত্তিহীন বলে দাবি করলেন আমিন সোহেল।
তিনি বলেন ডিআরডিও যে চার দিন ফ্লাইড ট্রায়াল করবে তার জন্য এলাকাবাসীকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে এবং তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তার জন্য রাজ্য সরকার ডিআরডিও-এর কাছে প্রায় এগার লক্ষ টাকা দাবি করেছে ত্রান শিবিরের খরচের জন্য। বিষয়টি রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রের ডিআরডিওর মধ্যে বোঝাপড়া হবে। শঙ্কু দেব পন্ডা আমাকে তার মধ্যে টানছেন কারণ বোঝা গেল না।
তবে এটা ঠিক আমরা প্রতিরক্ষার বিষয়ে বাধা সৃষ্টি করতে চাইনি। ডিআরডিওর ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র এই ঘনবসতি বাদ দিয়ে অন্য কোথাও করলে মানুষের অনেক সুবিধা হবে।উদাহরণ স্বরূপ বলেন সাগরের দিকে অনেক ফাঁকা জায়গা আছে। এইসব জায়গায় করা যেতে পারে। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন কিছুদিন আগে চাঁদিপুরে একটি মিসাইল উৎক্ষেপণ পরীক্ষা করা হয়েছিল তার কম্পনে মন্দারমনির হোটেলের জানলার কাঁচ ভেঙে যায় এবং দেওয়ালে ফাটল ধরে। এই থেকে বোঝা যায় মিসাইল এর তীব্রতা কতটা। সেই কারণে জুনপুটের যেখানে মিসাইল উৎক্ষেপণ কেন্দ্র করছে সেখান থেকে ন্যূনতম ৪০ মিটার দূরে লোকের বসতবাড়ি রয়েছে। মিসাইল উৎক্ষেপণের সময় যে তীব্র কম্পন হবে তাতে এই বাড়িগুলির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। তারপর যাযাবরের মতো বাড়ি ঘরদোর ছেড়ে কয়েকদিনের জন্য ত্রান শিবিরে থাকো এ জিনিস চলতে পারেনা। এতে মৎস্যজীবীদের জীবন জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই আন্দোলন আমিন সোহেলের ব্যক্তিগত আন্দোলন নয় বা এটি কোন রাজনৈতিক আন্দোলন নয়।
ভূমি রক্ষা কমিটি একটি অরাজনৈতিক সংগঠন তার মাধ্যমে আমাদের এই আন্দোলন চলছে চলবে।অমিন সোহেল বলেন শঙ্কু দেবপন্ডা ঠান্ডা ঘরে থেকে এইসব বাতেলা দিচ্ছে। তিনি এসে বাস্তবটা দেখে যান তাহলেই বুঝবেন বিষয়টি কি দাঁড়াচ্ছে। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র না করার জন্য বিগত দিনে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল। এখন তিনি তৃণমূলে নেই তার মানে এই আন্দোলন সঠিক নয় বলে বলবেন এটিও স্থানীয় মানুষ মেনে নেবে না। এই আন্দোলন এলাকাবাসীর জীবন জীবিকা রক্ষার্থে অরাজনৈতিকভাবে চলছে।