Select Language

[gtranslate]
৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বুধবার ২২শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ধরা পড়লো সোনারপুর কান্ডের মূল অভিযুক্ত জামাল উদ্দিন সরদার।

প্রদীপ কুমার সিংহ :- বহু জায়গায় ঘুরে নতুন সিম কার্ড নিয়েও শেষ রক্ষা হলো না।অবশেষে ধরা পরল সোনারপুর কান্ডের মূল অভিযুক্ত জামাল উদ্দিন সরদার। মাস্ক পরে থাকায় কাল হল জামালের ৷ তাতেই পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ বাসন্তী হাইওয়ে থেকে সোনারপুর আসার রাস্তায় তাকে গ্রেফতার করা হয় ৷ মঙ্গলবার ১৬ই জুলাই গ্রেফতারির আশঙ্কায় দুপুরেই বাড়ি ছাড়ে জামাল ৷ সন্ধের দিকে পাঁচিল টপকে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় জামালের স্ত্রী ও ছেলে ৷ ঐদিন ঘুটিয়ারি শরিফ এলাকায় শ্বশুরবাড়ির কাছে কোথাও থাকার পরিকল্পনা থাকলেও পুলিশের ঘোরাঘুরির কারণে জঙ্গলের মধ্যে রাত কাটায় জামাল ৷ দিনের আলো ফুটতেই মাস্ক মুখে দিয়ে ঘুটিয়ারি ষ্টেশন থেকে ট্রেন ধরে সোনারপুরের উপর দিয়েই বিধাননগর ষ্টেশনে নেমে বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় এক পরিচিতের কাছে যায় সে ৷ সেদিনটা ওখানেই কাটায় ৷ এরইমধ্যে সংবাদমাধ্যমে তার খবর সম্প্রচার হওয়া দেখে মত পরিবর্তন করে সে ৷   আত্মসমর্পনের কথাও ভেবেছিল জামাল ৷ এইকারণে বৄহস্পতিবার সোনারপুর থানার কাছাকাছি মিলন পল্লী এলাকায় সে চলেও আসে ৷ কিন্তু তার আইনজীবি তাকে আত্মসমর্পনের বিষয়ে মানা করলে ফের এলাকা ছাড়ে জামাল ৷ এরইমধ্যে নিজের ফোন পরিবর্তন করে নেয়, নতুন সিম নেয় ৷ স্ত্রী ও সন্তানের জন্য চিন্তা হচ্ছিল তার ৷ তাদের কোথাও একটা নিরাপদ আশ্রয়ে রাখার পরিকল্পনা করে সে ৷ এইকারণে শাশুড়িকে ফোন করে নিজের বিপদ বাড়ায় জামাল ৷ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার শালাকে তুলে আনে সোনারপুর থানার পুলিশ ৷ নিজের কাছের লোককেও আর বিশ্বাস করতে পারছিল না জামাল ৷ যদিও বৄহস্পতিবার রাতে ডানকুনি এলাকায় তার এক পরিচিতের বাড়িতে থাকে ৷ শুক্রবার স্ত্রী ও সন্তানকে সেভ জোনে রাখার ব্যবস্থা করে ৷ তারপর আগামী ৬ মাসের জন্য সে আত্মগোপন করার পরিকল্পনা করে ফেলে ৷ যদিও শেষ রক্ষা হয়নি ৷ সন্ধে সাতটার দিকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷
জামালকে গ্রেফতার করতে পুলিশের একাধিক টিম তৈরি করা হয়েছিল ৷ সোনারপুর থানার আইসি আশিস দাসের নেতৄত্বে একটি টিম শুক্রবার সারাদিন নানান জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় ৷ তারাই শেষ পর্যন্ত জামালকে গ্রেফতার করে ৷ অন্যদিকে সোনারপুর থানার পিসি পার্টির একটি টিম ও বারুইপুর পুলিশ জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের আরও একটি টিম দিনভোর তল্লাশি অভিযান চালায় ৷ জামালের গ্রেফতারির পর বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার পলাশ চন্দ্র ঢালি জানান তারা জামালকে নিজেদের হেফাজতে নেবেন ৷ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ৷ তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করা হবে বলেও জানান তিনি ৷
সোনারপুর থানার পক্ষ থেকে জামাল উদ্দিন সরদারকে শনিবার বারুইপুর মহাকুমা আদালতে তোলা হয় সোনারপুর পুলিশের পক্ষ থেকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য ১৪ দিনের মহামান্য আদালতের কাছে আবেদন করেছিল মহামান্য আদালতের বিচারক দশ দিনের পুলিশি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেন।
যখন আদালতে জামালকে নিয়ে আসা হয় সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে জামাল বলে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে যেসব অভিযোগ গুলো করেছে সেগুলো সবই মিথ্যা।

ekhansangbad
Author: ekhansangbad

Related News

Also Read