Select Language

[gtranslate]
৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বুধবার ২২শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

পূর্ণিমার কোটালে ও সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে আতঙ্কে উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দারা।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সৈকত শহর শঙ্করপুর ও তাজপুর এলাকার কিছু অংশে সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ভাঙ্গন ধরেছে বাঁধে।এর জেরে আতংকে পড়েছেন এখানকার উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এই বাসিন্দারা। পূর্ণিমার কোটালে ও সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে শংকরপুর , তাজপুর পূর্ব জলধা এই সমস্ত বিস্তীর্ণ এলাকায় একের পর এক সমুদ্রের পাড় ভাঙ্গায় আতঙ্কে এলাকার মানুষজন। সেই সঙ্গে কয়েকটি দোকান কার্যত সমুদ্রে তলিয়ে গেছে।

পূর্ণিমার কোটাল থাকায় কার্যত উত্তাল হয়েছে দিঘার সমুদ্র। মেরিন ড্রাইভ সম্পন্ন হয়ে গেলেও সমুদ্র উত্তাল থাকার জেরে বেশ কিছু ঝাউ গাছ এবং সমুদ্রের পাড় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খবর পেয়ে এলাকায় পরিদর্শনে আসেন জনপ্রতিনিধিরা, প্রধান এসে এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদেরকে আশ্বস্ত করেন।

আইলার সময় এই এলাকার প্রায় কয়েক কিলোমিটার সমুদ্রের জল ঢুকে গেছিল যেখানে কয়েক লক্ষ মানুষ আশ্রহীন হয়ে পড়েন এবং কেউ কেউ আবার আশ্রয় নিয়েছিলেন আইলা ঘর আবার কোথাও কেউ বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন অন্যত্র। তাই পুনরায় সেই আতঙ্ক আবার ফিরে আসতে চলেছে এলাকার মানুষদের মনে তাই এলাকার বাসিন্দারা চাইছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই এলাকার কোন কিছু স্থায়ী বাঁধ গড়ে তোলা হোক।

রামনগর এক ব্লকের বিডিও পূজা দেবনাথ এলাকার পরিদর্শনে আসবেন বলে জানিয়েছেন এবং সেই সঙ্গে তিনি সেচ দপ্তরের সঙ্গে কথাও বলেছেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই এলাকার অস্থায়ীভাবে কোন বাঁধ তৈরি করা যায় কিনা তার চিন্তা ভাবনা করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে তিনি আরো বলেন যেহেতু সামনে বৃষ্টি কাল তাই অস্থায়ীভাবে বালির বস্তা বা কিছু পাথর ফেলে যাতে মানুষদের বা মানুষের সম্পদ রক্ষা করা যায় তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

রামনগর এক নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিতাই সার বলেন অতি দ্রুত আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।

দিঘা থেকে সমুদ্র পাড় বরাবর মেরিন ড্রাইভ হলেও তাজপুরের কিছুটা অংশ সমুদ্রের গ্রাসে বারেবারে পড়ে। আগামী দিনে সেই অংশের কাজ দ্রুত সম্পন্ন হবে এমনটাই আশায় রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পর্যটকরা।
প্রধান সবিতা খাটুয়া বলেন আমি বারবার রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছি অবিলম্বে এই এলাকার মানুষদের সুরাহা যদি না হয় পরবর্তীকালে অনশনেও নামবেন বলে এমনটাই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে আসছি যে এই এলাকার প্রায় তিন কিলোমিটার ধরে কোন কংক্রিটের বাঁধ নেই আর একের পর এক পাড় ভাঙ্গা থেকে শুরু করে জনজীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে।

ekhansangbad
Author: ekhansangbad

Related News

Also Read