উইকএন্ড ডেস্টিনেশন হিসাবে দিঘা-উদয়পুর-শঙ্করপুরের পাশাপাশি গত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে মন্দারমণিও। কিন্তু, এখানেই রমরমিয়ে চলছে দেহ ব্যবসা। অভিযোগটা আসছিল দীর্ঘদিন থেকেই। দিন হোক বা গভীর রাত, আনাগোনা বাড়ছে অচেনা সব মহিলাদের। জাঁকিয়ে বসছে মধুচক্রের কারবার। পুরোটাই হচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। অভিযোগ, পুরো কারবারেই সরাসরি যোগ রয়েছে হোটেলগুলিরও। হোটেলে আগত ‘গেস্টদের’ চাহিদা মতো তরুণীদের আনছেন হোটেলের কর্মীরাই। পাচ্ছেন কমিশন। এরইমধ্যে এবার সেই মন্দিরমণিতেই একাধিক হোটেলে রাতভর চলল পুলিশি অভিযান। রাতে বসেছে মধুচক্রের আসর। গোপন সূত্রে সেই খবর গিয়ে পৌঁছায় মন্দারমণি থানার পুলিশের কাছে। তারপরই তৈরি অ্যাকশন প্ল্যান। রাতেই অভিযান চলে দু’টি হোটেলে। তাতেই এল সাফল্য। নন্দীগ্রাম থানার কেন্দামারি গ্রামের ঝুমকি রানী দাস চন্ডিপুরের রেলিকা চকের কাজল প্রামাণিক ভূঁইয়া কলকাতার দত্তপুর এর মালিপুকুর এলাকার রিয়া মন্ডল সহ ৬ মক্ষীরানী। সূত্রের খবর, সকলেই মধুচক্রের কারবারের সঙ্গে যুক্ত।
তবে শুধু তরুণী নয়, ১৩ জন যুবককেও গ্রেফতার করেছে মন্দারমণি থানার পুলিশ। ধৃত বাঁকুড়া জেলার ওন্দা থানার চাগোলিয়ার মনোরঞ্জন মন্ডল, কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের পূর্ব আমতলীয়ার রাজকুমার মন্ডল, বাঁকুড়া জেলার জয়পুর থানার বৈতালের অভিজিৎ কয়াল, বাঁকুড়া জেলার ওন্দা থানার চাগোলিয়ার কার্তিক রক্ষিত ও বাসুদেব ব্যানার্জি, বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়র থানার মুকুন্দপুর এর চন্দন বেজ, কাঁথির জালাল খাবার এর শেখ সাম্মাদ, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ভরদামগাঁ গৈগোখালির রাজু সরদার, জুনপুর উপকূলীয় থানার রাজকুমার মাইতি, রামনগর থানার মালঞ্চ এর কানাইলাল বেরা,কাঁথি থানার রঘুরামপুর শেখ আব্দুল জব্বার,কাঁথি থানার জগুসপুর এর রমজান দে, পটাশপুর থানার সৌরেন পাত্র কে আজ শুক্রবার কাঁথি মহকুমা আদালতের তোলা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, দুটি হোটেলেই রাতে বসেছিল মধুচক্রের আসর। পুলিশ হানা দিতেই একেবারে হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় সকলে। ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা মন্দারমণিজুড়েই। প্রশ্নের মুখে হোটেল-রিসর্টগুলির সামগ্রিক ব্যবস্থা। এমন অভিযান আগামীদিনে বারবার চালানো হবে বলে জানিয়েছেন ডিএসপি ডি এন্ড টি আবুনুর হোসেন। এর পিছনে আরও বড় কোনও চক্র কাজ করছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।