মেছেদা স্টেশনের ফুটওভার ব্রীজের উপরে গত ২৫ জুলাই রাত্রি দশটা দশ মিনিট নাগাদ এক কলেজ ছাত্রী ও তার মায়ের শ্লীলতাহানির চেষ্টার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনা নিয়ে মেচেদার নাগরিকরা সোচ্চার হয়ে নাগরিক প্রতিরোধ মঞ্চের পক্ষ থেকে আজ মেচেদা স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার এবং ও.সি., জি আর পি এফ ,পাঁশকুড়ার নিকট ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি দেন। মঞ্চের পক্ষ থেকে দাবী তোলা হয় ১)মেচেদা স্টেশনের মত গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে যাত্রীদের নিরাপত্তা বারে বারে বিঘ্নিত হচ্ছে কেন? ২) রাত্রি দশটার সময় ঐদিন কর্তব্যরত আর পি এফ বা জি আর পি এফ এর কোন পুলিশ ছিল না কেন? ৩) মেচেদা স্টেশন পূর্ব মেদিনীপুরের গেটওয়ে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত হাজার হাজার যাত্রী এই স্টেশন দিয়ে ট্রেনের মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুধু নয়, ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত করেন। অথচ এই স্টেশনে যাত্রীদের নিরাপত্তার এই হাল কেন?
ডেপুটেশনের প্রতিনিধিদলের ওই দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে আধিকারিকগন জানান, আর পি এফ বা জি আর পি এফ এর পুলিশের সংখ্যা এখানে খুবই কম। ওদের উপর ডিউটির অত্যাধিক চাপ থাকে। ঐদিন নাইট ডিউটিতে একজন মাত্র ছিলেন। আবার যিনি ছিলেন, তিনি অনেক দূরে ছিলেন। এর ফলে এ ধরনের দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। মঞ্চের নেতৃবৃন্দরা বলেন, বন্দে ভারত ট্রেন চলছে, অমৃত স্টেশন হচ্ছে ,প্ল্যাটফর্মগুলো আধুনিকীকরণ হচ্ছে অথচ রেল যাত্রীদের নিরাপত্তার সুনিশ্চিত হচ্ছে না কেন?
স্টেশন ম্যানেজারের কাছে দাবি করা হয়,মেচেদা স্টেশনে যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য ২৪ ঘন্টা উপযুক্ত সংখ্যক পুলিশী প্রহরার ব্যবস্থা করতে হবে। দ্রুত নূতন ফুটওভার ব্রীজে সি সি ক্যামেরা লাগানোর ব্যবস্থা করতে হবে। উনি জানান দ্রুত ওই বিষয়ে তিনি পদক্ষেপ নেবেন। এবং ওই দাবিগুলি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছেও পাঠাবেন। ডেপুটেশনের প্রতিনিধিদলে ছিলেন-স্বপন দাস,ফেরদৌস আলম,অজিত মাইতি,সুব্রত দাস প্রমুখ।