খেজুরি -২ ব্লকের নিজ কসবা গ্রাম পঞ্চায়েতের, ছোট গরানিয়া গ্রামের বাম ব্রহ্ম গাউনিয়ার বড় ছেলে সমীর গাউনিয়া পরিবারের বড় ছেলে সংসারের নিদারুণ আর্থিক কষ্টের জন্য কেরলের পালঘাটে কাজের খোঁজে গিয়েছিলেন। পালঘাট জেলার ছোট্ট শহর প্যারাথান মানায় প্রতিদিন রাস্তার ধারে কাজের জন্য অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো।এই ভাবে একটি পাকা বাড়ির কাজ পায়।গত কাল দ্বিতল পাকা বাড়িটিতে রাজমিস্ত্রির কাজ করছিলেন। বাঁশের মাচা বেঁধে কাজ হচ্ছিল। হঠাৎ মাচা ভেঙে নিচে পড়ে যায় সমীর। মাথায় প্রচন্ড আঘাত লাগে সাথে সাথে স্থানীয় আন্দুল মেডিকেল কলেজে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তাররা অনেক চেষ্টা করেন শেষপর্যন্ত আজকে সকালে মারা যান ।
মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল মাত্র ৪০ বছর। বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা, বৃদ্ধা মা, ছোট ভাই, স্ত্রী ও দুজন নাবালক ছেলে নিয়ে তার সংসার আজ অথৈ জলে। এলাকায় খবর পৌঁছানো মাএ শোকের ছায়া নেমে আসে। সকলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন । স্ত্রী মুহুর মুহুর মূর্চ্ছা যাচ্ছেন।শোক বিধ্বস্ত পরিবারে এলাকার মানুষজন গিয়ে সান্ত্বনা দিচ্ছেন ।স্থানীয় সিপিআইএম নেতা বিশ্বজিৎ বারিক সহ সমর্থকগন তার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে, কেরলের পালঘাটে যোগাযোগ করেন। হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পরে তার দেহনিয়ে আসার ব্যবস্থা করার জন্য সব রকম চেষ্টা করেন।পরিয়যায়ী শ্রমিক হিসাবে দীর্ঘদিন ধরে তিনি কেরলে এইভাবে কাজের জন্য যাতায়াত করতেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিযায়ী শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শান্তনু দাস এবং রাজ্য সিআই,টি,ইউ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও প্রাক্তন মন্ত্রী অনাদি সাহু বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করেন। তার পরিবারের কাছে থেকে সব রকম সাহায্য, সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন খেজুরী-২ এরিয়া কমিটির সম্পাদক রত্নেশ্বর দোলুই ও রাজ্য নেতৃত্ব হিমাংশু দাস।