বনদপ্তরের রেঞ্জার এবং বন কর্মীদের অভব্য ব্যবহারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখালো এলাকার তপশিলি ও মৎস্যজীবী মহিলারা। ঘটনাটি ঘটেছে রামনগর ১ ব্লকের তাজপুর পর্যটন কেন্দ্রে।পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ চললে ঘটনাস্থলে আসে মন্দারমনি থানার পুলিশ। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। অভিযোগ সমুদ্র ভাঙ্গনের জেরে প্রায় ২৫ টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই দোকানগুলি সরে এসে বনদপ্তরের জায়গায় অস্থায়ী ভাবে দোকান নির্মাণ করে বসে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বনদপ্তরের কর্মীরা গিয়ে ওই দোকানগুলি করাত দিয়ে কেটে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় এবং আগুন লাগিয়ে দেয়।
অভিযোগ দোকানদারদের কিছু মালপত্র লুট করে নিয়ে যায়। গ্রামবাসী খবর পেয়ে প্রতিবাদ করতে এলে রাত্রিতে বনকর্মীরা পালিয়ে যায়। তারপর খবর পেয়ে শনিবার মন্ত্রী অখিল গিরি গিয়ে বনাধিকারিকের সঙ্গে বাদানুবাদ হয়। রাতে বানাধিকারীক গ্রামবাসীকে কুকথা বলে। গুন্ডা, কুকুর সহ অস্রাব্য গালিগালাজ করে। তাতে গ্রামবাসীর সম্মানহানি হয়। মহিলাদের অভিযোগ অভব্য আচরণের কারণে বনাধিকারীক ও বন কর্মীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেন। এই বিক্ষোভ মিছিল পথ অবরোধ থেকে অখিল গিরি জিন্দাবাদ বলে ধ্বনি উঠতে থাকে। মন্ত্রী অখিল গিরি বনাধিকারীক কে কটুক্তি করার জেরে মন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয়। তারও প্রতিবাদ করতে থাকে এই মহিলারা। মহিলাদের দাবি মন্ত্রীর কথা যেরকম প্রকাশ্যে এসেছে বনাধিকারীদের কথাও প্রকাশ্যে আনা হোক। শুধু তাই নয় নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করেছে আন্দোলনকারী মহিলারা। তাদের দাবি রুটি রুজির প্রশ্নে দোকান করার জায়গা দিতে হবে। তাই নয় পর্যটকদের স্বার্থ এর সঙ্গে জড়িত আছে। এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকা উত্তোল হয়ে উঠে।