বিজেপি ছেড়ে তৃনমূলে যোগ দেওয়ার অপরাধে এক মহিলাকে প্রায় অর্ধ নগ্ন করে ঘোরানো হয় নন্দীগ্রামে। এমনকি মারধরও করে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।আরজি কর কান্ডের মধ্যে এই বর্বরতার খবর সামনে আসতেই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।রবিবার ওই মহিলাকে দেখতে নন্দীগ্রামে আসেন তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল। কুণাল ঘোষ, দোলা সেন-সহ ৮ সদস্যের ওই প্রতিনিধি দল এদিন হাসপাতালে গিয়ে ওই মহিলার সঙ্গে দেখা করেন। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। মহিলাকে আরও ভাল চিকিৎসার জন্য কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
জানা গেছে এই নারকীয় কান্ডের পর নন্দীগ্রাম থানায় অভিযোগ করেন নির্যাতিতা মহিলার স্বামী ।অভিযোগ পাওয়ার পর এই ঘটনার তদন্তে নেমে গতকাল স্থানীয় বিজেপির বুথ সভাপতি তাপস দাসকে গ্রেপ্তার করে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। এদিন আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিন কুণাল ঘোষরা হাসপাতালে গিয়ে মহিলার সঙ্গে দেখা করেন। মহিলার সঙ্গে দেখা করার পর দোলা সেন বলেন,আমরা মেয়েদের উপর অত্যাচারের বিরোধী। সমগ্র ঘটনা আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব। এবং মহিলার পরিবারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করব। সেই সাথে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দোলা সেন বলেন,আরজি করের প্রশ্ন আপনারা তুলবেন, তা জানি। আরজি করকে আড়াল করতে আমরা এখানে আসিনি। ভুল ব্যাখ্যা কেউ করবেন না। আরজি করের ঘটনায় আমরা দোষীদের ফাঁসি চাই।
নন্দীগ্রামে এই মহিলার উপর নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর তীব্র সমালোচনা করলেন কুণাল ঘোষ।এই নিয়ে মহিলা কমিশনেও যাবেন বলে তিনি জানান।
নন্দীগ্রামের গোকুলনগরের বাসিন্দা ওই মহিলা গতদিনের মত রবিবারও সাংবাদিক ও তৃনমূলের প্রতিনিধি দলের কাছে অভিযোগ করেন তাঁরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। সেই কারণে বুধবার তাঁকে মারধর করা হয়েছিল। এই নিয়ে থানায় তিনি অভিযোগ জানান। তারপরই শুক্রবার রাতে বাড়িতে ঢুকে তাঁর উপর হামলা চালানো হয়।