প্রদীপ কুমার সিংহ :- আরজিকর কান্ডের প্রতিবাদে ২৭ আগস্ট মঙ্গলবারে পশ্চিমবাংলা ছাত্র সমাজ হঠাৎ গজিয়ে ওটা একটি দল নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল। ৯ আগস্ট আরজিকর হাসপাতালে মহিলা ডাক্তার ছাত্রী যেভাবে নৃশংসভাবে খুন করে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে তা একটি ঐতিহাসিক ঘটনা বলে মনে করে এই ছাত্র সমাজ। ছাত্র সমাজ মনে করে এই ঘটনার পিছনে আসল দোষী যারা তাদেরকে ধরা হচ্ছে না। যদিও পাঁচ দিন পর সিবিআইয়ের হাতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেন। ১২ দিন হয়ে যাওয়ার পরও এখনো পর্যন্ত সিবিআই এর পক্ষ থেকে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
এই কাণ্ডে একজনকেই গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ ঘটনা ঘটার ১২ ঘণ্টার মধ্যে। কিন্তু সিবিআই এর পক্ষ থেকে কোন গ্রেফতার এ খবর নাই। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষ মনে করছে যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে সেখানে ধুয়ে মুছে সাফ করে দিয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তাই পশ্চিমবাংলা অগণিত মানুষ রাস্তায় নেবে স্লোগান দেয় উই ওয়ান্ট জাস্টিস।
আসল দোষীদের শাস্তি দিতে হবে। কিন্তু একজন ব্যক্তিকে ছাড়া আর কোন মানুষকে এ নিয়ে গ্রেফতার করতে পারেনি সিবিআই এর পক্ষ থেকে। তাই সাধারণ মানুষ হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তাররা মনে করছে এর মধ্যে অনেক রহস্য লুকিয়ে আছে। তাই পশ্চিমবাংলার ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে নবান্ন অভিযানের ডাক দেয়।
নবান্ন অভিযানে যোগ দিতে বারুইপুর থেকে রওনা দিলেন অনেকেই। দলীয় পতাকা ছাড়া বেশ কিছু সংখ্যক মানুষ তারা নবান্ন অভিযানের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন বলে জানান। বারুইপুর স্টেশন চত্বরেই we want justice বলে স্লোগানও দেন তারা। তাদের হাতে জাতীয় পতাকা ছিল।